• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কানাডা দেবে ৩০০ মিলিয়ন ডলার

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডা দেবে ৩০০ মিলিয়ন ডলার

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

রোহিঙ্গা সঙ্কট

কানাডা দেবে ৩০০ মিলিয়ন ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০১৮

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। আগামী তিন বছরে দেশটি এ সহায়তা দেবে। ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ দূতের প্রতিবেদনের পর এ ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দেশে ফিরে কানাডার বিশেষ দূত প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রতিবেদন দেন। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার সঙ্কট, সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধান, জবাবদিহি এবং সমন্বয় ও সহযোগিতার বিষয়ে কানাডা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নে বাস্তুচ্যুত হয়ে ৭ লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছে। এ জন্য সে দেশে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আগে নারী, শিশুসহ সবার নিরাপত্তার বিষয়কে বিশেষ প্রাধান্য দিতে হবে। তা ছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার এবং নিরাপদ পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে।

হাইকমিশনের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাস্টিন ট্রুডো ঘরহারা রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থান খুব শোচনীয় উল্লেখ করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে বরাবরের মতো বাংলাদেশের পাশে থাকবে কানাডা। যত দিন বিদ্যমান সঙ্কট সমাধান না হবে, তত দিন জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি কানাডাও সার্বিক সহযোগিতা দেবে।

গত বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত বেনোয়া প্রেফন্ত। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে কানাডা। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যা যা করছে, তাতে কানাডা অভিভূত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার মার্কিন সিনেটর জেফ মার্কলি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত বৃহস্পতিবার সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটিকে বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে থাকবে। মার্কলি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন নতুন করে ৭ লাখেরও বেশি শরণার্থী রয়েছে। তাদের অনেক সহায়তা প্রয়োজন। আর যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই পাশে আছে।’

রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ নিয়ে তদন্ত করছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনও তৈরি করলেও তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সিনেটর মার্কলি পম্পেওকে আহ্বান জানান, রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে পররাষ্ট্র দফতরের তৈরি করা প্রতিবেদন যেন প্রকাশ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন আইন ২০১৯ পাস করে। এতে মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞের কথা উল্লেখ আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads