• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে : সু চি

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অং সান সু চি

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে : সু চি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জুন ২০১৮

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতার ভিত্তিতেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করারও প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

৭ জুন জাপানের সংবাদমাধ্যম আশাহি শিমবুনকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এমনটাই জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন বিদেশি পরামর্শকদের সহায়তা নিতে আপত্তি নেই মিয়ানমারের। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতার ভিত্তিতেই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সু চি। এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতিও দেন।

প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সু চি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে আমরা তার ভিত্তিতেই এগোচ্ছি। তবে এর আগেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সু চি।

কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উল্টো রাখাইনে যে অভিযান চলছে সেটির সমর্থন করে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষও।

এদিকে রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সম্প্রতি ৪০০ রোহিঙ্গার পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশও মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে সংকট নিরসনের। এমন প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে নেইপিদো।

সু চি বলেন, আমরা মনে করি তদন্ত কমিশনটি আমাদের পরামর্শও দিতে পারবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে রাখাইনে পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়ক হবে। রাখাইনের বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা অবিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘রাতারাতি শান্তি অর্জন করা সম্ভব নয়।’

আর জাতিগত সমস্যাগুলোর সমাধানে তার সরকারের ভূমিকার ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু চি বলেন, জাতিগত সমস্যাগুলোর সমাধানে তার সরকারের ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে প্রচণ্ড সমালোচনা কুড়িয়েছে সে বিষয়ে তিনি অবগত। 

অন্যদিকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে আবারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে সু চি বলেন, আমাদেরকে সব নাগরিকদেরই নিরাপত্তা দিতে পারতে হবে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে। সেজন্য আমরা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।

গত বছর আগস্টে নিরাপত্তা চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলার পর রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-ধর্ষণ-ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ঘটনাকে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ আখ্যা দেয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। তবে মিয়ানমার শুরু থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads