• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
রোহিঙ্গা শিবিরে ব্লক কমিটি নিয়ে অসন্তোষ

আশ্রয়শিবিরে ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে অসন্তোষ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

রোহিঙ্গা শিবিরে ব্লক কমিটি নিয়ে অসন্তোষ

  • টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুন ২০১৮

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শালবন আশ্রয়শিবিরে ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এআরডিএ নামে একটি এনজিও নিজেদের পছন্দমতো লোক নিয়ে কমিটি সাজাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ক্যাম্প কমিটি নির্বাচন নিয়ে অনেক রোহিঙ্গাই সরাসরি বিরোধী অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, একটি জায়গায় কিছু লোক জড়ো করে সেখান থেকে চারজনের নাম ঘোষণার মাধ্যমে করে সাব-ব্লক ও ব্লক কমিটি গঠন করেছে এআরডিএ। এক্ষেত্রে সরকারের গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়নি। বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মাঝি ও সাব-ব্লক ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

সম্প্রতি টেকনাফের শালবনের ৩টি ব্লকে ১০টি করে সাব-ব্লক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি গঠনের সময় ক্যাম্প ইনচার্জ প্রতিনিধি ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু বেশিরভাগ কমিটি গঠনের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না। এআরডিএ গত ৩-৫ জুন তিন দিনে শালবনের এ, বি ও সি ব্লক কমিটিও গঠন করেছে। এ বিষয়ে এরআরডিএ কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের গাইডলাইন অনুসরণ করে শরণার্থী সংস্থা ও ক্যাম্প ইনচার্জ এসব কমিটি গঠন কাজ বাস্তবায়ন করেছে। আমরা মূলত এ কাজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে থাকি।

শালবন ডি-৪ ব্লক কমিটির সদস্য মো. রফিক বলেন, ব্লকের প্রতি ঘরের প্রতিনিধিদের ডেকে হাত উঠানো সমর্থন নিয়ে ৪০ জন প্রতিনিধি প্রথমে বাছাই করা হয়। সেখান থেকে ২০ জন ভোটার ঠিক করে তাদের সমর্থনে ৪ জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ডি-৫ ব্লকের সদস্য আবুল ফয়েজ বলেন, এআরডিএ’র ঘোষিত তারিখে নারী-পুরুষরা ভোট প্রদান করেন।

নয়াপাড়া সম্প্রসারিত ক্যাম্পের হেড মাঝি আলী জোহার অভিযোগ করে বলেন, এখানে আগে প্রতি ব্লকে মাঝি ও সাব-মাঝি কাজ করছে। এদের সমন্বয়ে ব্লক কমিটি গঠন না করে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর ফলে এখানে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ লেগে যেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, এক বছরের জন্য ক্যাম্পভিত্তিক কমিটি গঠনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলতে পারে। এখানে আগের মাঝি ও বর্তমান গঠিত ব্লক কমিটির কাজ যেহেতু ভিন্ন তাই এ নিয়ে উত্তেজনা বা উদ্বেগের কিছুই থাকার কথা নয়। এরপরও পুরো প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads