• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ফের  হামলা

শহীদ মিনার চত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার চিত্র

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ফের হামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জুলাই ২০১৮

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সোমবার সকালে ফের দফায় দফায় হামলা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তবে সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেছেন, সংগঠন থেকে নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তারা ‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ’ বজায় রাখতে কাজ করছেন। 

আন্দোলনকারীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হতে গেলে হামলার মুখে পড়েন তারা। তাদের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, স্কুলছাত্র–বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানিসহ বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস থাকায় রোববার সেখানে কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। সোমবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিক্ষোভ কর্মসূচির ছিল।

এর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সকাল থেকেই সেখানে ছাত্রলীগ মহড়া দেওয়ায় তারা শাহবাগে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেও একই অবস্থা দেখে আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় তারা। এক পর্যায়ে ফারুক হোসেনকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় শাহবাগ থানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে আবারো ৮ থেকে ১০ জন আন্দোলনকারী ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়ান। এ সময় তাদের ওপরেও সাইফ বাবু, জয়নাল আবেদিন ও মেহেদী হাসান সানিকে হামলা চালাতে দেখা যায়। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এতে আমিসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছি। ফারুক হোসেনকে তুলে নিয়ে গেছে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি পরে জানানো হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads