• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রাজপথ ছাড়ছেন না শিক্ষকরা

দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা ও স্যালাইন নেওয়া বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরাি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

রাজপথ ছাড়ছেন না শিক্ষকরা

চিকিৎসা নেবেন না অনশনরতরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ জুলাই ২০১৮

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরও এমপিওভুক্তির দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা ও স্যালাইন নেওয়া বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ অনুযায়ী দ্রুত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) আওতায় আনা হবে- প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পরও গতকাল তাদের রাজপথে অবস্থান করতে দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা হলে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারবে না। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ অনুকম্পায় সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কর্মসূচি স্থগিত কিংবা প্রত্যাহার করছি না। বুধবার সকাল থেকে নতুন শপথ নিয়েছি- অনশন কর্মসূচিতে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাব না, স্যালাইন নেব না।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘দাবি আদায়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।’

এদিকে কয়েক দিন আগে এমপিওভুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে বিধিগত ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।

টানা ১০ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। অনশনে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনশনের আগে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ২৪ দিন ধরে প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা।

সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে পাঁচ হাজার ২৪২টি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads