• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাকায় পথেই নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ শ্রমঘণ্টা

রাজধানীতে যান চলাচলের গড় গতি সাত কিলোমিটারে নেমে এসেছে

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

ঢাকায় পথেই নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ শ্রমঘণ্টা

গাড়ির গতি প্রায় হাঁটার সমান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০১৮

যানজটের কারণে ঢাকায় দৈনিক ৩২ লাখ শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। রাজধানীতে যান চলাচলের গড় গতি নেমে এসেছে সাত কিলোমিটারে। হেঁটে চলার গড় গতিই যেখানে পাঁচ কিলোমিটার! গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে উপস্থাপন করা বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গ্লোবাল সিটির অংশ হিসেবে ঢাকাকে কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘পাওয়ার হাউজ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনটি এরই প্রতিফলন। সংস্থাটি বলছে, মহানগরীর দ্রুত সম্প্রসারণের সঙ্গে নগর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সামঞ্জস্য রাখা হয়নি। ফলে একটি বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ৩৫ লাখ বস্তিবাসীসহ রাজধানীর অনেক বাসিন্দা মৌলিক সেবা, অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

প্রতিবেদনে নগর পরিকল্পনা নিয়ে বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঢাকায় অতিরিক্ত ৫০ লাখ লোকের জন্য বসবাসের ব্যবস্থা করা যাবে। একই সঙ্গে ১৮ লাখ মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান করা সম্ভব। যেটা করতে হলে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেগুলো হলো- বন্যা থেকে বাঁচতে ও পানির গতিপ্রবাহ ঘোরাতে বালু নদীর তীরে বাঁধ দিতে হবে, ক্রমবর্ধমান ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের উন্নয়নে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এ ছাড়া ঢাকার পূর্বে একটি ‘বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট’ গড়ে তুলতে হবে।

বলা হয়েছে, এই তিন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। আর এই টাকা ব্যয়ের ফলে ২০৩৫ সালের মধ্য বছরে ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম হবে। সংস্থাটি বলছে, এই অর্থনৈতিক কার্যক্রম রাজধানীবাসীর আয় বাড়িয়ে দেবে। এখন যেখানে মাথাপিছু আয় ৮ হাজার ডলার, সেটা ২০৩৫ সাল নাগাদ ৯ হাজার ২০০ ডলারে উন্নীত হবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশীয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রামা, পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অক্সফোর্ডের প্রফেসর এন্থনি ভেনাবল।

প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে ভেনাবল বলেন, গড় হারে প্রতিদিন ঢাকায় মানুষ বাড়ছে। বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালে ঢাকার জনসংখ্যা হবে সাড়ে তিন কোটি। ঢাকা এখন প্রচুর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। সেটা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কীভাবে ঢাকাকে আরো বসবাস উপযোগী করা যায় প্রতিবেদনে সেটা দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads