• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
কৌশলে শিবির ‘ছাড়ছে’ রোহিঙ্গারা

আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে কৌশলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কৌশলে শিবির ‘ছাড়ছে’ রোহিঙ্গারা

  • মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৮

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে কৌশলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি স্থানীয় চক্রের সহযোগিতায় বাংলাদেশি পরিচয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশেও।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চলে শিবির নির্মাণ করে আশ্রয় দেওয়া হয় তাদের। জানা গেছে, ইতোমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয় চক্রের সহযোগিতায় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন ব্যবহার করে শিবিরের বাইরে লোকালয়ে বসবাস শুরু করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অনেকে ভর্তি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, উখিয়া ও টেকনাফের অরক্ষিত শিবিরগুলো থেকে নিয়মিত পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের হাতে আটকও হচ্ছে তারা। গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে পাঁচ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়। আটকরা জানায়, তারা উখিয়ার কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী ও জামতলী শিবিরের বাসিন্দা।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ৩০টি শিবির রয়েছে অরক্ষিতভাবে। সরেজমিন দেখা যায়, ওই শিবিরগুলোতে নেই কোনো সীমানাপ্রাচীর। জানা গেছে, করইবনিয়া, ডেইলপাড়া, তুলাতলী, আজুখাইয়া, হাঙ্গরঘোনা, দরগাহবিল, লম্বাঘোনা, পাতাবাড়ী, শীলেরছড়া, মাছকারিয়া মধুরছড়া ও ফলিয়াপাড়া রাস্তার মাথাসহ সড়ক-উপসড়ক দিয়ে রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উখিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা শিবিরে অবস্থান করলেও তাদের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। তারা প্রতিদিন শিবির থেকে বের হয়ে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু শিবির থেকে পালিয়ে গেছে।’ এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads