• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
অনশনরত শিক্ষকদের তিন প্রস্তাব

এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

এমপিওভুক্তি দাবি

অনশনরত শিক্ষকদের তিন প্রস্তাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জুলাই ২০১৮

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সমস্যা সমাধানে তিনটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আংশিক হলেও এই অর্থবছরেই এমপিওভুক্তির আওতায় বেতন-ভাতার দাবি করেছেন তারা। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন শিক্ষকরা।

প্রস্তাবনাগুলো হলো- ১. প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতিই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য একমাত্র নীতি হবে, যার মাধ্যমে অতীতে সারা দেশের ২৮ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আগের এমপিওভুক্তির নীতিতে এমপিওভুক্ত হবে। ২. বরাদ্দকৃত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে বর্তমান অর্থবছরেই (২০১৮-২০১৯) সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর আওতায় এনে আংশিক বেতন চালু করা যেতে পারে। পরবর্তী অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) আংশিক বেতনের সমন্বয় সাধন করা। ৩. দীর্ঘ ১৫-২০ বছর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে এমপিওভুক্তির পর কমপক্ষে তিন বছর সময় দেওয়া। এ সময়কালে সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অনশনের ১৪তম দিনে সচিবের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে। সাক্ষাৎকালে সচিব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বান জানালে প্রতিনিধি দল পূর্ববর্তী ২৭ বার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, এর আগেও আমরা অনেকবার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু সেই আশ্বাসের কোনো বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে। এর আগে গত ৫ জুলাই বিকালে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের আমন্ত্রণে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করে।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্বাসের ওপর বিশ্বাস রেখে অনশনরত শিক্ষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর একজন একান্ত সচিব। গত ৫ জানুয়ারিও অনশনরত শিক্ষকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ওই আশ্বাস পেয়ে অনশন স্থগিত করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে গিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু নতুন বাজেটে কোনো অর্থ বরাদ্দ না রাখা এবং নতুন এমপিও নীতিমালা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ফের অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। আশ্বাসে বিশ্বাসী না হয়ে শিক্ষকরা এমপিও নিয়েই ঘরে ফিরতে চান।’

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads