• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
দেশ-বিদেশের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

কোটা কমিটির প্রথম বৈঠক

দেশ-বিদেশের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জুলাই ২০১৮

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের থামাতে সরকার এক দিকে যেমন খড়গহস্ত, তেমনি আরেক দিকে কোটাপদ্ধতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে প্রথম বৈঠক করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে কোটা পদ্ধতির সব তথ্য সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর আন্দোলনকারীরা বলেছেন, সরকার সময়ক্ষেপণের কৌশল নিয়েছে।

কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির মুখপাত্র ও যুগ্ম-সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দাবি করেছেন, অনেকে তথ্য না জেনেই কোটা সংস্কার আন্দোলন করছেন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসে। পরে কমিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, আন্দোলনকারীরা তো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছেন। তারা অনেকেই তথ্য না জেনে আন্দোলন করছেন। মুখপাত্র বলেন, কোটা সংক্রান্ত কমিটি গতকাল প্রথম মিটিং করেছে। এতে মূলত কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই কর্মপন্থার প্রথম ধাপ হচ্ছে, দেশে-বিদেশে কোটা সংক্রান্ত যে তথ্য রয়েছে বা আমাদের বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিশন বা কমিটির যে প্রতিবেদনগুলো আছে তা দ্রুত সংগ্রহ করা। এই তথ্য পাওয়ার পর কমিটি দ্বিতীয় মিটিংয়ে বসবে। তিনি বলেন, সুপারিশ দিতে আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। তাই আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত কাজ করতে। ওই প্রতিবেদন বা তথ্যগুলো আসলে কাদের প্রতিবেদন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদন এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের প্রতিবেদন রয়েছে। তিনি বলেন, সেগুলো আমরা যত দ্রুত পারি সংগ্রহ করব। এগুলো নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু এ বিষয়ে ভালো-সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত চাচ্ছেন, সেজন্য কমিটি বাস্তবধর্মী এবং তথ্যগত যে বিষয় রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।

এর আগে নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধার প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটি করে সরকার। এ কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), অর্থ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন এ সভায়।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০, নারী ১০, জেলা ১০, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads