• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের অনেক এলাকা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০১৮

টানা ২৪ ঘণ্টার ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের অনেক এলাকা। ফলে মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বান্দরবান জেলা সদরের সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জেলা শহরের বালাঘাটা, কালাঘাটা, ইসলামপুর, হাফেজঘোনা, আর্মিপাড়া, শেরে বাংলানগর, বাসস্টেশনসহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বিকেলে শহরের উত্তর বালাঘাটার পুলপাড়া এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সেখানে বেইলি সেতুসহ সড়কপথের বিশাল এলাকা প্রায় ১৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।

উত্তর বালাঘাটার ব্যবসায়ী আবদুর রহিম, ঠিকাদার মাকসুদ চৌধুরী, পুলপাড়ার বাসিন্দা ক্রামং মারমা এবং সানি মারমা বলেন, সামান্য বৃষ্টিপাতেই এইসব নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে বান্দরবানের উত্তরাঞ্চলসহ পুরো রাঙ্গামাটির সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ বাড়ে।

কালাঘাটার বাসিন্দা কইনুচিং মারমা এবং জামাল হোসেন বলেন, পানির নিস্কাশনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ে পুরো এলাকাই।

জেলা সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা বলছেন, পুলপাড়া এলাকায় প্রধান সড়কের ওপর নির্মাণাধীন আরসিসি গার্ডার সেতুটির কাজ শেষ হলে আর সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ থাকবে না। জনদুর্ভোগের অবসান ঘটবে।

জেলার সাংগু নদী এবং খালবিলসহ পাহাড়ি ঝিরিসমুহে ভারী বর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।

জেলা প্রশাসন এবং পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের ১২টি স্কুল এবং ২টি আশ্রয় কেন্দ্রকে অস্থায়ী বন্যাআশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রেখেছে। শহরের নিচু এলাকাসমুহে বসবাসরত বিশেষ করে পানিতে ডুবে যাওয়া পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা শহরে ভারী ও মাঝারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র মো.ইসলাম বেবী এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তারা জানান।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads