• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো পদক্ষেপ নিন

জাতিসংঘ

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

মিয়ানমারকে নিরাপত্তা পরিষদ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো পদক্ষেপ নিন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৮

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টাকে আরো জোরালো করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। নিউইয়র্ক সময় গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রোহিঙ্গা নিধন বিষয়ক সুষ্ঠু তদন্তের অপরিহার্যতা তুলে ধরা হয়। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।

বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে মিয়ানমারকে কাজ করতে আহ্বান জানানো হয়। পরিষদের সদস্যরা রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথাও বলেন। বৈঠকে মিয়ানমারে জাতিসংঘের দূত ক্রিস্টিন স্ক্রানার বার্জানার বলেন, ‘লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত আনতে আগ্রহী নেইপিডো। মিয়ানমার সরকার সত্যিই তাদের ফিরিয়ে আনতে চায়। কিন্তু রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ও সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের মধ্যে এখনো অস্থিরতা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে এবং স্থায়ীভাবে ফেরত আনতে হবে।’

নিরাপত্তা পরিষদের কিছু শক্তিশালী সদস্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের ওপর অবরোধ আরোপের প্রস্তাব দেয়। তবে এতে মিয়ানমারের মিত্র এক রাষ্ট্র ভেটো দেয়। সুইডেনের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত এবং বর্তমান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অলফ স্কুগ রোহিঙ্গা নির্যাতন প্রশ্নে সবার সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে দেরি করেছে। বলা যায়, তাদের নেওয়া অনেক পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। পরিষদ যদি শুধু চাপ প্রয়োগের মধ্যে থাকে, তাহলে আমার মনে হয় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো ধীর হবে।’

২০১৭ সালে আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশকিছু চৌকিতে একযোগে সন্ত্রাসীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর খুন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের কারণে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরাতে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মিয়ানমার সরকার। এরপরও তা বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি দেখায়নি দেশটি।

এদিকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্ক্রানার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি দাবি করেন, সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থতার কারণে মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে পড়লেও সু চি খুবই সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads