• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
শতাব্দীর দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

শতাব্দীর দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে বিশ্ব

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়

শতাব্দীর দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৮

শতাব্দীর দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে বিশ্ব।আজ শুক্রবার রাতের আকাশ পরিষ্কার থাকলে ১০৩ মিনিট স্থায়ী এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে উপচ্ছায়ায় প্রবেশ করবে চাঁদ। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। আর উপচ্ছায়া থেকে চাঁদ বেরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। গ্রহণকালে চাঁদ একেবারে অদৃশ্য হবে না। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে দেখাবে গাঢ় কমলা বা লাল রঙের। এ কারণে চাঁদের এ অবস্থাকে বলা হয় ব্লাড মুন।

বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা অনুসারে, সূর্যে আলো যখনই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে তখন পৃথিবীর আকাশের নীল রঙের সঙ্গে মিশবে সাদা আলো। আর তখনই আলোক বিচ্ছুরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে লাল আলোর।

আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ এই চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পারবেন। চন্দ্রগ্রহণ শুরুর মুহূর্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং শেষ মুহূর্ত পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ উৎসবের আমেজে এই ব্লাড মুন দেখার আয়োজন করেছে।

ঢাকার বিজ্ঞান জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্যও শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে উন্মুক্ত থাকবে জাদুঘর। চন্দ্রগ্রহণ উপলক্ষে থাকবে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনার।

প্রসঙ্গত, সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একই সরলরেখায় চলে এলে গ্রহণ হয়। এ সময় পৃথিবী যদি চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে থাকে, তখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেলে হয় চন্দ্রগ্রহণ। এর আগে ২০০০ সালের ১৬ জুলাই ১০৬ মিনিট স্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আর পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে ২০২৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads