• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বিষাদমাখা এক সকাল

এক স্বপ্নভঙ্গের বিস্ময়-বেদনা নিয়ে শুরু হয়েছিল দিন

আর্ট : রাকিব

জাতীয়

বিষাদমাখা এক সকাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ আগস্ট ২০১৮

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। মাত্র তিন বছর সাড়ে সাত মাসের ব্যবধানে একটি স্বাধীন দেশের পরিচিতিই যেন পাল্টে গেল। পাল্টে গেল দেশের চিত্র। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বীরের বেশে ফিরেছিলেন সদ্য স্বাধীন দেশে, পেয়েছিলেন বীরোচিত সংবর্ধনা। মানুষের ভালোবাসার সঙ্গে নিজের অশ্রুবিন্দুকে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মহান নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি সপরিবারে নিহত হলেন বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির সকালটা ছিল বাঙালি জাতির কাছে এক সাগ্রহ অপেক্ষার। সকলের প্রিয় নেতা দেশে ফিরবেন। আর ১৫ আগস্টের সকালটা ছিল একেবারেই অন্য রকম বিষাদে মাখা। সবাই জানে, বাংলাদেশে সকাল আসে পাখির গানে; ভোরের আকাশ রাঙা হয় আবির মেখে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেন পাখির কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙে বাঙালি জাতির। ভোরের পুব আকাশে আবির নয়, যেন মাখানো ছিল ছোপ ছোপ রক্ত। বাঙালির ইতিহাস এমনিতেই রক্তে লেখা। সে দিনের সকালও যেন এসেছিল রক্তরাঙা হয়ে। সে রক্ত জাতির জনকের, তার প্রিয়তমা স্ত্রী ও প্রিয় সন্তানদের।

কিন্তু কেন? এত অল্প সময়ের ব্যবধানে চিত্রটা এমন করে পাল্টে গেল কেন?

এর প্রণিধানযোগ্য বিশ্লেষণ দিয়েছেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের নব্য ধনী, নতুনভাবে গড়ে ওঠা সিভিল এবং মিলিটারি ব্যুরোক্র্যাসি এবং তখন নিষিদ্ধ ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এই ভেবে ভীত হয়ে ওঠে যে, শেখ মুজিব কেবল দেশের রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করেই ক্ষান্ত হবেন না, তিনি তার প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার পথে এগোবেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত আমলাতন্ত্রের কাঠামো ভেঙে প্রশাসনের একেবারে নিচুতলা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল শাসনের ব্যবস্থা করবেন। লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে দমন করার লক্ষ্যে তিনি সমাজতন্ত্রের লাল ঘোড়া দাবড়াবেন। রাজনীতিতে সামন্তবাদী ধর্মীয় প্রভাব এবং ধর্মের নামে রাজনৈতিক ব্যবসা তিনি উচ্ছেদ করবেন। ফলে এই চক্রগুলো সংগঠিত হয় এবং স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যগুলোসহ বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উচ্ছেদের জন্য চক্রান্ত শুরু করে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads