• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
৬৪৭ হজযাত্রীর ভিসার আবেদনই করা হয়নি

ছবি : ইন্টারনেট

জাতীয়

৬৪৭ হজযাত্রীর ভিসার আবেদনই করা হয়নি

হজে যেতে পারবেন না ১০৪৭ জন

  • কামাল মোশারেফ
  • প্রকাশিত ১০ আগস্ট ২০১৮

দুদিন সময় বাড়ানোর পরও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৬৩২ ও সরকারি ব্যবস্থাপনার ১৫ হজযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা পড়েনি। অন্যদিকে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত কোটার ৪০০ হজযাত্রী নিবন্ধনই করেননি। ফলে এ বছর কোটা থাকার পরও ১০৪৭ জন হজে যেতে পারছেন না। গতকাল পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৩৬৩ জন হজ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সৌদি দূতাবাস আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেয় গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত সর্বশেষ ভিসার আবেদন করা যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার হজ এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর দুদিন সময় বাড়িয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভিসার আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময় শেষে দেখা যায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩২ হজযাত্রীর ভিসার জন্য আবেদন করেনি এজেন্সিগুলো। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করেনি।

বাংলাদেশের খবরকে এখনো ৬৩২ হজযাত্রীর ভিসা বাকি থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
অপরদিকে, বিগত বছরগুলোয় সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার কোটা রাখলেও পর্যাপ্ত হজযাত্রী না পাওয়ায় শেষের দিকে কিছু হজযাত্রী বেসরকারি কোটায় দিয়ে দিতে হতো। এ কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় বেশ ঝামেলা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে চলতি বছর আগেভাগেই সরকারি কোটা কমিয়ে ৭ হাজার ১৯৮ জন করা হয়। আর বেসরকারি কোটায় দেওয়া হয় এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী। কিন্তু চূড়ান্ত নিবন্ধনের পর দেখা যায়, এ কোটাও পূরণ করতে পারেনি সরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৬ হাজার ৭৯৮ জন নিবন্ধন করেন। কিন্তু বাকি কোটা আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এতে ৪০০ খালি থেকে যায়। এ ছাড়া ভিসা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৩ জনের।

গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২৯১টি ফ্লাইটে মোট ৯৯ হাজার ৩৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি যাবে আগামী ১৫ আগস্ট।

এদিকে, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনায় গ্রুপলিডার/কাফেলা স্বীকৃত নয়। কথিত গ্রুপলিডার/কাফেলা লিডারের সঙ্গে এজেন্সির কোনো প্রকার লেনদেনের দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে হজ এজেন্সিকে বহন করতে হবে। হজ এজেন্সি এবং গ্রুপলিডার/কাফেলা লিডারের সঙ্গে লেনদেনের কারণে কোনো হজযাত্রী প্রতারিত হয়ে হজে যেতে না পারলে তার দায় সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির ওপর বর্তাবে। এ জন্য হজ এজেন্সিকে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিতে উল্লিখিত সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, যেসব হজ এজেন্সি তাদের সব হজযাত্রীর ডিও সংগ্রহ করেনি, শিগগিরই সেগুলোর তালিকা করে আশকোনা হজ অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ আরো বলেন, এখনো হজ টিকেট ক্রয় না করা হজ এজেন্সিগুলোকে টিকেট সংগ্রহে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর টিকেট বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রী কোটা নির্ধারিত হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬ হাজার ৭৮৩১ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৮ জনের ভিসা সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads