• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
হজে যেতে পারছেন না ৭২৭ যাত্রী

হজ যাত্রী

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

হজে যেতে পারছেন না ৭২৭ যাত্রী

সিরাজগঞ্জের ৫৯ জনের হজযাত্রা অনিশ্চিত

  • কামাল মোশারেফ
  • প্রকাশিত ১১ আগস্ট ২০১৮

সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ৭২৭ হজযাত্রী এ বছর সৌদি যেতে পারছেন না। এর মধ্যে রয়েছেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৮৮ ও সরকারি ব্যবস্থানায় ৩৯ জন। তবে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, এজেন্সির কোনো গাফিলতিতে নয়, ব্যক্তিগত কারণে তারা যেতে চাচ্ছেন না বলেই তাদের ভিসা হয়নি। এদিকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের ৫৯ জনের।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আশকোনা হজ অফিস থেকে গতকাল শুক্রবার জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন। এর মধ্যে ভিসা পাওয়া গেছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৩১২ জনের এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৫৯ জনের। গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৩৪৬ জন সৌদি গেছেন।

সৌদি দূতাবাস আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেয় গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত সর্বশেষ ভিসার আবেদন করা যাবে। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদিন সময় বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বশেষ ভিসার আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়। তারপরও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৮৮ জন হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করেনি এজেন্সিগুলো। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৯ জনের ভিসার আবেদনও করা হয়নি। ৬৮৮ জনের ভিসা আবেদন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়েছে হজ অফিস।

এ প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএইচ হারুন বলেন, এজেন্সির গাফিলতির কারণে যদি কেউ হজে যেতে না পারেন, তবে ওই এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এবার ৬৮৮ জন হজযাত্রী স্বেচ্ছায় ড্রপ করেছেন। প্রতিবছরই কিছু যাত্রী স্বেচ্ছায় ড্রপ করেন। আমরা এটাকে বলি ন্যাচারাল ড্রপ। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায়ও ৩৯ জন সেম স্ট্যাটাসের (একই অবস্থা) আছেন। স্বেচ্ছায় হজে গমন না করার এ সুযোগটি যাত্রীর নিজস্ব ব্যাপার।

গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে এ বছরের সর্বশেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। অথচ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৪ ও ১৫ আগস্টের ৮টি ফ্লাইটের টিকেট এখনো অবিক্রীত রয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় এরই মধ্যে ১৬টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। হজ শেষে হাজীদের ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইট শুরু হবে ২৭ আগস্ট।

আশকোনা হজ ক্যাম্পে একাধিক হজযাত্রী অভিযোগ করে বলেন, শেষ  সময়ে এসে এজেন্সিগুলো তাদের কাছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দাবি করছে। ভিসা ও বিমানের টিকেট কিনতে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে বলে দাবি করে এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের কাছ থেকে এ টাকা নিচ্ছে।

এদিকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৫৯ জনের। ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বাসিন্দা আবদুল সামাদ আযাদ ও তার স্ত্রী এবার হজে যাওয়ার জন্য টাকা দেন সুবাহান আল্লাহ ট্রাভেল এজেন্সিকে।

আবদুল সামাদ অভিযোগ করে বলেন, সুবাহান আল্লাহ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৬৫ জন এবার হজে যাওয়ার টাকা দেন। হাবের নির্ধারিত প্যাকেজের চেয়ে ১৫ হাজার টাকা বেশি দিয়েছি। আমাদের টাকা সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস মসজিদের ইমাম আবদুল্লাহ আল মামুনের মাধ্যমে দিই। আমাদের গ্রুপের ৬৫ জনের মধ্যে কেবল ৬ জনকে নিয়ে ইতোমধ্যে সৌদি গেছেন আবদুল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, এজেন্সির পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল ২ আগস্ট আমাদের ফ্লাইট হবে। কিন্তু এখনো হয়নি। বৃহস্পতিবার আমাদের জানানো হয়, ১৩ আগস্ট ফ্লাইট হতে পারে। কিন্তু তারা কোনো নিশ্চিয়তা দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads