• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মুখোমুখি হবেন হাসিনা-মোদি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

বিমসটেক সম্মেলন ৩০-৩১ আগস্ট

মুখোমুখি হবেন হাসিনা-মোদি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ আগস্ট ২০১৮

চলতি মাসের শেষে কাঠমান্ডুতে বঙ্গোপসাগরীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমসটেক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিমসটেক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে ১১ আগস্ট নেপালে সাত দেশের এই জোটের সিনিয়র কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। শীর্ষ সম্মেলন ৩০ আগস্ট শুরু হলেও সিনিয়র কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলো শুরু হবে আগামী ২৮ আগস্ট। ওই বৈঠকগুলোর সুপারিশ নিয়ে বিমসটেক শীর্ষ নেতারা জোটের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও নীতিনির্ধারণ করবেন। 

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে কে পি শর্মা অলি এ আমন্ত্রণ জানান এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।

এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিমসটেকে সম্মেলনের পাশাপাশি সেখানে হাসিনা-মোদি বৈঠক হতে পারে। আর আসন্ন ওই বৈঠকে ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন মোদি। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দিল্লি যে ঢাকার পাশে রয়েছে সেই বার্তাও দেবেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়েও শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির ওই বৈঠক ইতিবাচক হবে বলেও ভারতের কূটনৈতিক মহলের ধারণা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এর আগে লন্ডনে গত এপ্রিল মাসে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এবং গত মে মাসে শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবনে’র উদ্বোধনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক হয়।

১৯৯৭ সালে বিমসটেক গঠিত হয়। ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই উদ্যোগ শুরু করে; পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়। বিমসটেকের সদর দফতর ঢাকায় হলেও বর্তমানে এ সংস্থাটির  চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছে নেপাল। বর্তমানে সংস্থাটি পরিবহন ও যোগাযোগ, সন্ত্রাস ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ মোকাবেলা, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে কাজ করছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads