• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
খুনিরা কে কোথায়

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

রাকিব আর্ট

জাতীয়

খুনিরা কে কোথায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

সামরিক বাহিনীর কতিপয় পথভ্রষ্ট সদস্যের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন। এর পর একই বছরের নভেম্বরে হত্যাকারীদের বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে একটি প্লেনে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে অনেক খুনিকে চাকরি দেওয়া হয় বিভিন্ন দূতাবাসে।

২০১০ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়। এ ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়েছে। এ পাঁচজন হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)। আজিজ পাশার মৃত্যু হয়েছে বিদেশে। কিন্তু আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী ও আবদুল মাজেদ এখনো পলাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিবরণে জানা যায়, নূর চৌধুরী ও বজলুল হুদা সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেন। পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও বাকি ছয়জনকে সরকার এখনো দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাশেদ চৌধুরী : ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে জেদ্দায় কূটনীতিক পদে যোগদান করেন। তিনি নাইরোবি, টোকিও, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়াতে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় তিনি ব্রাসিলিয়ায় কর্মরত ছিলেন। একই বছরের জুলাই মাসে তাকে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই সময় রাশেদ চৌধুরী সাও পাউলো থেকে সান ফ্রানসিসকো চলে যান। তখন থেকে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

২০১৪ সালে দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ তাকে ফেরত চায়। সম্প্রতি জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানা গেছে।

নূর চৌধুরী : ১৯৭৬ সালে ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ মিশনে তার কূটনীতিক জীবন শুরু করেন। তিনি আলজিরিয়া ও হংকংয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তাকে দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি কানাডায় পালিয়ে যান।

২০০৪ সালে কানাডার অভিবাসন কোর্ট তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ২০০৭ সালে কানাডার সর্বোচ্চ আদালত রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নাকচ করে দেওয়ার পরে নূর চৌধুরী প্রি-রিস্ক রিমুভাল অ্যাসেসমেন্ট বিধির আওতায় কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আবেদন করেন। ওই আবেদন এখন পর্যন্ত মীমাংসা হয়নি।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরের সময়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা হয়। তখন তারা নূর চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়।

শরীফুল হক ডালিম : কূটনীতিক হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৭৬ সালে বেইজিংয়ে। ১৯৮২ সালে তাকে হংকংয়ে বদলি করা হয় এবং ১৯৮৮ সালে কেনিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদায়ন করা হয়। ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকার তাকে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠায়। ধারণা করা হয় ডালিমের কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে ব্যবসা আছে। গত বছর তাকে স্পেনে দেখা গেছে বলে খবর পাওয়া যায়।

রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ : দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর সরকার গত বছর জানতে পারে মোসলেহউদ্দিন আহমেদ জার্মানিতে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত বছরের জানুয়ারিতে জার্মান সরকারকে একটি নোট ভারবাল পাঠানো হয়। জার্মান সরকার এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে চেয়েছে এবং জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে।

খন্দকার আবদুর রশীদ : খন্দকার আবদুর রশীদকে পাকিস্তানে দেখা গেছে এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পাকিস্তান সরকারকে একটি নোট ভারবাল দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে।

আবদুল মাজেদ : তার অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads