• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সোমবারের মধ্যে মতামত দেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধা কোটা

সোমবারের মধ্যে মতামত দেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ আগস্ট ২০১৮

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখার বাধ্যবাধকতা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আগামী সোমবারের মধ্যে আদালতে মতামত দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে বলেন, এ বিষয়ে আদালতের মতামত জানানোর জন্য দুই তিন দিন আগে আমি চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে আমার মতামত চাওয়া হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে আমার মতামত দেব। মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা না রাখা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল চিঠি পেলেও সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ ধরনের চিঠি এখনো পায়নি।

গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তারা কোটা প্রায় তুলে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। তবে রায় থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আদালতের মতামত পাওয়া গেলেই তারা তাদের প্রতিবেদন সরকারপ্রধানের হাতে তুলে দেবেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া বাকি কোটার বিষয়ে তারা সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এখন অপেক্ষা আদালতের মতামতের।

এদিকে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ৩১ আগস্টের মধ্যে কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটাব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। এই কমিটির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরো ৯০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধার ভিত্তিতে। বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০, জেলা কোটা ১০, নারী কোটা ১০ এবং উপজাতি কোটা ৫ শতাংশ। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads