অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না উঠতে এবং লঞ্চের ছাদে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে যাত্রীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। আজ রোববার ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি খারাপ আবহাওয়ায় লঞ্চ না চালাতে এবং ঈদের সময় লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিও তিনি আহবান জানিয়েছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যাত্রীদের যাতায়াত আনন্দময় হবে। যাত্রী, নৌযান মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনার ফলে বিগত চার বছরে বড় ধরণের কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
শাজাহান খান বলেন, ঢাকা সদরঘাটে হকারমুক্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টির কোন ধরনের উৎপাত নেই। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে সরকারের আন্তরিকতার কারনে। ঈদের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। যাত্রীদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নৌযানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই।
ঢাকা সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চে যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০টি পন্টুন রয়েছে। সদরঘাটস্থ এক নম্বর টার্মিনাল ভবনের পূর্বদিকে লালকুঠি ও শ্যামবাজার পর্যন্ত পন্টুন এলাকা বাড়ানো হয়েছে এবং পার্কিং ইয়ার্ড করা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।