• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ২১০০০ কর্মী প্রস্তুত ঢাকায়

কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ২১০০০ কর্মী প্রস্তুত ঢাকায়

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

কোরবানির পশু বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।  এজন্য প্রায় ২১ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এবারে নতুন সংযুক্ত ৩৬ ওয়ার্ডসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১ হাজার ৫৪টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত ও নির্ধারিত সময়েই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা থাকবে এবং বর্জ্য অপসারণের প্রায় ৫ লাখ পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করবে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন দুই মেয়র। আসন্ন কোরবানির ঈদে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে প্রায় ৫ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। এসব পশু থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার টন বর্জ্য সৃষ্টি হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খোন্দকার মিল্লাদুল ইসলাম জানান, বর্জ্য অপসারণে ২০ হাজার ৭৭১ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মধ্যে ডিএসসিসির ১১ হাজার ২৭১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে থাকবেন। এখানে ১০টি পে-লোডারসহ ৩৫০টি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য এবার হটলাইন চালু করা হয়েছে। ডিএসসিসির হটলাইন নম্বর হলো ০৯৬১১০০০৯৯৯। এ ছাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজার বর্জ্যবাহী ব্যাগ বিতরণ করা হবে। এছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণে লিফলেট ও মাইকিং করা হবে।

মিল্লাদুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় পশু জবাই করা যাবে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধায় এবং দুর্গন্ধ থেকে নগরকে মুক্ত রাখতে নির্ধারিত জায়গায় পশু জবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, এই সিটিতে সাড়ে ৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণে মাঠে থাকবে।

তিনি জানান, বর্জ্য অপসারেণ এই সিটিতে বর্জ্যবাহী ট্রাক ১৫০টি, ডাম্প ট্রাক ১৯টি, ৫টি পে-লোডার, ৩টি হুইল ডোজার, ১১টি পানির গাড়ি (জেট স্প্রেসহ), স্কিড লোডার ৪টি, বেকহো লোডার ৪টি, ট্রাক (আউটসোর্সিং) ৮০টি, বর্জ্যবাহী ব্যাগ থাকবে ৪ লাখ পিস, ব্লিচিং পাউডার ৪০ হাজার কেজি, স্যাভলন ১০০ লিটার ও ফিনাইল ২০০ লিটার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি বুলডোজার, ২টি লং আর্ম স্কেভেটর, ৩টি চেইন ডোজার, ২টি হুইলডোজার কাজের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads