• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সারা দেশে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে মাদককে ‘না’

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

সারা দেশে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে মাদককে ‘না’

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মাদক নির্মূলে অভিযান চালানোর পর এবার সামাজিকভাবে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সবাইকে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে ‘মাদককে না’ বলার কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি-বেসরকারি চাকরি এবং যানবাহন চালানোর লাইসেন্স পেতে মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ (ডোপ টেস্ট) বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

মাদকের বিরুদ্ধে ‘হার্ডলাইন’-এর পাশাপাশি ‘সফটলাইন’ কার্যক্রম হিসেবে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দাঁড়িয়ে মাদককে না বলার কর্মসূচি পালিত হবে। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে কেবিনেট বৈঠকের আহ্বান করে কর্মসূচির তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়।

এ উদ্যোগের ফলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ। গতকাল শনিবার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘মাদক ইতোমধ্যে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ কোর্সে মাদকাসক্তি সম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাদক নির্মূল অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা অভিযানে গিয়ে তৎক্ষণাৎ আসামিদের সাজা দেবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে এই কর্মসূচি সফল করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উদ্যোগটি ভালো। মাদক নির্মূলে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। এটা শুধু সরকারের একার পক্ষে নির্মূল করা সম্ভব নয়।’ মাদককে একযোগে ‘না’ বলা ছাড়াও পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে জনসচেতনতামূলক স্লোগান লিখে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি-বেসরকারি চাকরি এবং যানবাহন চালানোর লাইসেন্স পেতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই টেস্টে উত্তীর্ণরাই চাকরি ও লাইসেন্স পাবেন। মাদকসেবীদের কল্যাণে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর উন্নতি ও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এটি পর্যায়ক্রমে প্রয়োগের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আকস্মিকভাবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads