• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
দ্রুত প্রজ্ঞাপন চান কোটা আন্দোলনকারীরা

আজ সোমরবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

দ্রুত প্রজ্ঞাপন চান কোটা আন্দোলনকারীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে ‘ইতিবাচক’ মন্তব্য করে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা দ্রুত প্রজ্ঞাপন চান। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। পাশাপাশি মামলা থেকে আন্দোলনকারীদের প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের বিচার চেয়েছেন তারা।

সরকার গঠিত কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এ-সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছে কমিটি। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্যের পর বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারীরা।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমরা সরকারের পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে প্রজ্ঞাপন হতে হবে। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের হবে।’

হাসান আল মামুন আরো বলেন, ‘আমাদের যেসব সদস্যদের গ্রেফতার করে মামলার সঙ্গে জড়ানো হয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’ এছাড়া আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচার হতে হবে। তাদের দাবি মানতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের ব্যাপকতা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মধ্যেই গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল হবে বলে জানান। এরপর কোটা সংস্কার, বাতিল বা পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার শাহবাগ থানায় চারটি ও রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল একটি মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান এজাহারভুক্ত আসামি। বাকি চার মামলার কয়েক শ আসামির সবাই অজ্ঞাতনামা। মামলাগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দুটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্যের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের চারটি ঘটনা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads