• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

লোগো মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জাতীয়

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন

সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বাংলাদেশ এখনো সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মতে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার সংখ্যা কমলেও ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএসের মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হামলার ঝুঁকি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। একই সঙ্গে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বিগ্ন দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

গত বুধবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এই বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের গত বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপিত এই প্রতিবেদন বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে।

প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করা হয়। এ ছাড়া সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টগুলোতে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়। তবে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ সরকার কেবল স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ওপর দায় চাপায় উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অন্তত ৪০টি হামলায় ভারত উপমহাদেশীয় আল-কায়েদা (একিউআইএস) এবং আইএসআইএস দায় স্বীকার করেছে।

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট যৌথ উদ্যোগে সন্দেহভাজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং এতে অনেক সময় সন্দেহভাজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হত্যাও করা হয়। এগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দাবি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর আপত্তি রয়েছে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, বাংলাদেশ তাদের সীমান্ত এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে আসছে বলেও এতে বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কট্টর ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। এ দেশের বহু জঙ্গির নাম-পরিচিতি সন্ত্রাসী গঠনগুলোর ভিডিও, ওয়েবসাইট এবং বক্তৃতা পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে আদান-প্রদান করলেও জঙ্গিদের কোনো নজরদারি তালিকা প্রস্তুত করেনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের ইন্টারঅ্যাক্টিভ অ্যাডভান্সড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম নেই। উৎকণ্ঠার অপর একটি বিষয় হিসেবে প্রতিবেদনে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত অপরাধ প্রমাণে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যদিও বিদেশি সন্ত্রাসীদের বিচারে দেশটিতে পর্যাপ্ত আইন নেই, তবে এ রকম অপরাধীদের গ্রেফতার করে প্রচলিত অন্য আইনে বিচার করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, জঙ্গিদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার মতো জটিল অভিযোগের তদন্ত করা ও অভিযোগ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা যথেষ্ট নয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads