• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে সতর্ক পুলিশ

লোগো পুলিশ

জাতীয়

নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে সতর্ক পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যস্ততার পাশাপাশি নাশকতা ও সহিংসতা সম্পর্কে সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের এ প্রস্তুতির সময় সন্ত্রাসী, জঙ্গিরা নাশকতায় মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নিষ্ক্রিয় জঙ্গিরা নির্বাচনে নাশকতায় লিপ্ত হতে পারে। এ তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। পাশাপাশি এ সময় পলাতক সন্ত্রাসীরা দেশের বাইরে থেকেও চোরাপথে ঢুকে সহিংসতা করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা হতে পারে এ বিষয়টিও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, নাশকতা, এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটার আশঙ্কা থাকে এ সময়। এজন্য পুলিশ সদস্যদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। তিনি বলেন, জঙ্গিরাও এ সময় সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে ওঠে। তারা আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে এসে ছদ্মবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং স্পর্শকাতর স্থানে হামলা করে বহির্বিশ্বে দেশের ও ক্ষমতাসীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালায়।

তিনি বলেন, জঙ্গিদের প্রথম টার্গেট কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনীর সদস্য। আপনারা জানেন, গত ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে পেট্রোলবোমা ও গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীবাহী বহু বাসে চোরাগোপ্তা হামলায় কয়েকশ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই পরিস্থিতিও পুলিশ সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এবার ওই ধরনের ঘটনার কোনো আশঙ্কা করছি না। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, পুলিশ সদস্যরা এবার আরো দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশনার পরপরই আমি মেসেজের মাধ্যমে ঢাকা রেঞ্জের সব জেলা ও থানায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।

গত বুধবার পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের বৈঠকে আইজিপি স্পষ্ট বলেছেন, পুলিশ সুপাররা নিজেরাও স্বশরীরে মাঠপর্যায়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড তদারকি করবেন। কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জেলা পুলিশ সুপারকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ডিএমপিতে কোনো থ্রেট নেই। তারপরও আমরা সচেতন আছি। আমি সব ডিসি ও ওসিদের সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে সড়কে চেকপোস্ট ও টহলে আরো গুরুত্বারোপ করেছি। এ দায়িত্ব পালনকালে যাতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা না হয়, সে নির্দেশনাও দিয়েছি।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads