• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

শহীদ নূর হোসেন 

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০১৮

আজ ১০ নভেম্বর, শহীদ নূর হোসেন দিবস। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রামের অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেন। মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছানোর পর এর পুরোভাগে থাকা নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তার তাজা রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ, বেগবান হয় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।

নূর হোসেনের আত্মাহুতির স্থানটি এখন ‘শহীদ নূর হোসেন চত্বর’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিবছর শহীদ নূর হোসেন দিবস পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকাল ৮টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ। এরপর নূর হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেবেন নেতারা। সকাল ৯টায় নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি। একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে নূর হোসেনের মতো সাহসী মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। তিনি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নূর হোসেনসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।

এদিকে, নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে তার পৈতৃক নিবাস পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নিভৃত পল্লী সাপলেজা ইউনিয়নের ঝাঁটিবুনিয়া গ্রামে স্মৃতিরক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads