• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৮

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলার লক্ষ্যে আসন্ন কপ-২৪ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে দেশের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেখানে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও নেপথ্যের অনেক রাজনীতি মূল নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে। এই অবস্থায় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন তারা।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য এই জলবায়ু সম্মেলনে অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ উপস্থিত থাকবে। কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোকে একটি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনতে ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

‘কপ-২৪ জলবায়ু সম্মেলন : প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাসান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম সহায়ক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান।

কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা নিয়ে সন্দেহ আছে। সেখানে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও নেপথ্যের অনেক রাজনীতি মূল আলোচ্য হয়ে দাঁড়াবে। আমাদেরকে তাই নিজস্ব সক্ষমতার ওপরই নির্ভর করতে হবে। নিজেদের প্রস্তুত হতে হবে। বাইরের সহায়তা আসলে সেটাকে বাড়তি পাওনা হিসেবে ধরতে হবে।

ড. হাসান মাহমুদ বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সব দেশ সেই প্রতিশ্রুতি পালন করলেও ২০৫০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়বে। কিন্তু ধনী দেশগুলো সেটা বিবেচনা করছে না। তাদের অস্পষ্ট ভূমিকা আমাদের হতাশ করেছে। এ অবস্থায় জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় দেশের সব নাগরিককেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু আলোচনায় সুশীল সমাজ ও সংগঠনের মতামত প্রতিফলিত করতে হলে তাদের বক্তব্য শুনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রক্রিয়াটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, জলবায়ু আলোচনায় সব সময়ই বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই আলোচনায় সবসময়ই বাংলাদেশের সরকার এবং সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধিরা সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের স্বার্থে অবদান রাখছে। এ বছরও আমরা সরকারের অবস্থান প্রকাশ করব এবং আলোচনা প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ফেডারেশন অব এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিস্টের কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফেডারেশনের মো. পোথার হোসেন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুডের জিয়াউল হক মুক্তা, পিআরডিআই-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহাসহ অনেকে।

এ সময় কপ-২৪ সম্মেলনে জাতীয় স্বার্থ আদায়ে দৃঢ় ভূমিকা পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশের অধিকারভিত্তিক দশটি নাগরিক সংগঠন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads