• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে ৫ বছরে আদায় পৌনে ৩শ’ কোটি টাকা

লোগো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে ৫ বছরে আদায় পৌনে ৩শ’ কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৮

দণ্ডিত দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে গত পাঁচ বছরে পৌনে ৩শ’ কোটি টাকা আদায় করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) দ্য ইমিপ্লেমেন্টেশন রিভিউ গ্রুপের দ্বিতীয় রিজিউমডের নবম সেশনে এ তথ্য জানান সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ডেলিগেশন টিমের প্রধান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ আনকাক সম্মেলনে বাংলাদেশ টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ রিভিউয়ের (পুনঃনিরীক্ষণ) প্রথম সাইকেলে ইরান এবং প্যারগুয়ের মাধ্যমে পুনঃনিরীক্ষিত হয়েছে এবং ফিজি ও ফিলিপিন্স পুনঃনিরীক্ষণ করেছে।

গত ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আনকাক আয়োজিত এই সেশনে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। সম্মেলনে অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে নতুন নতুন শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নানাবিধ উত্তম চর্চার সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। ফলে আনকাকের বিভিন্ন প্রভিশন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কাজ করছে। ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১৮৯টি মামলা দায়ের এবং ২২৩টি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে। ২০১১ সালে যেখানে দুদকের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার ছিল ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা ৬৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মানিলন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে এই সাজার হার ১০০ শতাংশ। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত ২৩টি মামলার রায় হয়েছে, প্রতিটি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে কমিশনের বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের ৭১৫ দশমিক ২ মিলিয়ন টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একইভাবে ২০২৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫৫০টি দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং মামলায় আসামিদের বিচারিক আদালতে সাজা হয়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের আইনি ম্যান্ডেট অনুসারে স্বাভাবিক অনুসন্ধান এবং তদন্তের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে বহুমুখী উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বছরে ১৫টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে ঘুষ গ্রহণের সময় ১৮ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করেছে দুদক।

দুদক কর্তৃক ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করতে আইনানুগ পরামর্শ দিচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads