• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
প্রত্যাবাসনের আগে পরিদর্শনে পাঠানোর প্রস্তাব

রোহিঙ্গা

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

প্রত্যাবাসনের আগে পরিদর্শনে পাঠানোর প্রস্তাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

শেষ মুহূর্তে নিজ দেশে ফিরতে পুরোপুরি বেঁকে বসেছে রোহিঙ্গারা। আগের কয়েক দিন পালিয়ে পালিয়ে থাকলেও বৃহস্পতিবার প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিক্ষোভ করেন তারা। এই অবস্থায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি সফল করতে এসেছে বিকল্প প্রস্তাবনাও। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাবনা বিবেচনারও আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ।

দেশ দুটি প্রস্তাব করেছে, গড়ে সব রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের আওতায় না এনে প্রাথমিকভাবে তাদের দল নেতাদের (মাঝি) আগে রাখাইনে পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হোক। সেখানকার অবস্থা পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে পরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। 

সদ্য রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন (পিআরএম) বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী রিচার্ড অলব্রাইটের বরাতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তার দেশ মনে করে মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য পুরো অনুকূল নয়। তাই মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা এবং ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দেশটিতে তাদের অবাধ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। তাতে করে মিয়ানমারের ট্র্যানজিট স্থাপনাগুলো নিজে দেখে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে স্বজনদের সঙ্গে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিচার্ড অলব্রাইট গত ১০ থেকে ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় কমিউনিটি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে মিয়ানমার তার সরেজমিন সফরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-ও এ রকম পরামর্শ দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই রকমের প্রস্তাব দিয়েছে জাপান। তিনি জানান, জাপান রোহিঙ্গা নেতাদের (মাঝি) একটি দলকে রাখাইনে সরেজমিন পরিদর্শনের প্রস্তাব দিয়েছে। জাপান বলেছে, সেখানে তারা পরিস্থিতি দেখে এসে অন্যদের জানাতে পারবেন। অবস্থা অনুকূল হলে তারাই বাকিদের ফেরাতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে। সে বিষয়ে মিয়ানমারকে জানানো হবে।

তিনি বলেন, এই প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে একটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশে ফিরতে বল প্রয়োগ করবে না।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads