• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
শেখ হাসিনার জন্য বিশেষ মোনাজাত রোহিঙ্গাদের

জুম্মার নামাজে রোহিঙ্গাদের হাতে ধন্যবাদ সম্বলিত প্লাকার্ড

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

প্রত্যাবাসন স্থগিত

শেখ হাসিনার জন্য বিশেষ মোনাজাত রোহিঙ্গাদের

  • জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখায় বেজায় খুশী রোহিঙ্গারা। তারা গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। সেখানে বিভিন্ন প্লে-কার্ড নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন না করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।  উখিয়া উপজেলার কুতুপালং , বালূখালী , জামতলি টেকনাফের উনছিপ্রাং, নয়াপাড়া শালবাগানসহ বিভিন্ন কাম্পে জুমার নামাজের পর রোহিঙ্গারা আনন্দ মিছিলও করে।

জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটির নেতা ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘মিয়ানমারে এখনো ফেরার পরিবেশ তৈরী হয়নি। গনহত্যার বিচার হয়নি। এখনো রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এ অবস্থায় আমরা ফিরে যাওয়া মানে জেনে শুনে বিষপান করা। আমরা তা করতে পারি না। যদিও ১৫ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দফায় প্রত্যাবাসের চেষ্টা চালায়। তবে বাংলাদেশ সরকার ও সরকারী দায়িত্বশীল সচেতনভাবেই ও স্বইচ্ছাই যারা ফিরে যেতে চায় তাদেরকে মর্যাদা ও সম্মানের সাথে ফেরতের কথা বলেছেন। জোর করে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা হয়নি। এ জন্য শুক্রবার জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়’।

১৫ নভেম্বর হতে দৈনিক ১৫০ জন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত ছিলো বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এ জন্য দু হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের জন্য ছাড়পত্র দেয় মিয়ানমার। কিন্তু রোহিঙ্গারা এখনো পরিবেশ তৈরী হয়নি দাবী করে প্রত্যাবাসন বিরুধী বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যেতে চায়নি।  এ প্রসঙ্গে ত্রান ও শরনাথী প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবুল কালাম বলেন, ‘টেকনাফের কেরুনতলী ও বান্দরবানের ঘুমধুমে দুটি প্রত্যাবাসন সেন্টার সর্ম্পণ প্রস্তুত রাখা হয়। কিন্তু কোনো রোহিঙ্গা স্ব-ইচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী হয়নি। আর আমরা এদের ফিরে যেতে জোর করতে পারিনা’।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads