• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
আগে পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

জাতিসংঘ

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

আগে পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৮

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরির শর্ত পূরণে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। একই সঙ্গে প্রত্যাবাসনের আগে সেখানে গিয়ে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখে আসার সুযোগ করে দিতেও দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলেছে, ইউএনএইচসিআর এই সফরে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত এবং রাখাইন রাজ্যে শরণার্থীসহ সব জনগোষ্ঠীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান লাভে সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকাস্থ অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশে ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা তাদের বসতভিটায় ফিরতে পারে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করুন। এই সঙ্কটের মূল সম্পর্কে রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশে চিহ্নিত করা আছে, ওই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। বলা হয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা যাতে স্বাধীনভাবে স্বভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেজন্য তাদের এই সুযোগ দেওয়া উচিত। এর মধ্য দিয়ে শরণার্থীরা স্বাধীনভাবে রাখাইনে পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে এবং বাংলাদেশে অন্য শরণার্থীদের কাছে সে তথ্য প্রচার করতে পারবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ যে আন্তরিকতা এবং ধৈর্যের সঙ্গে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। এই সঙ্কটের শুরু থেকেই বাংলাদেশ তা সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে ইতিবাচক যোগাযোগ রক্ষা করে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিশ্চিতে মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি এবং ফিরে আসাদের গ্রহণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআর। তবে চলাচলের স্বাধীনতা, সেবা পাওয়ার সুযোগ, দালিলিক বিষয় ও জীবিকার সুযোগের ক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হয়েছে তা মিয়ানমারের দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে মিয়ানমার সরকারকে সহযোগিতা করতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। চুক্তির ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছিল। তবে দিন-তারিখ ঠিক করা হলেও রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads