• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শারীরিকভাবে সক্রিয় নয় দেশের ৬০ শতাংশ শিশু

শারীরিকভাবে সক্রিয় নয় দেশের ৬০ শতাংশ শিশু

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

শারীরিকভাবে সক্রিয় নয় দেশের ৬০ শতাংশ শিশু

সক্রিয় না থাকা শিশুরা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সমস্যায় পড়ার ঝুঁকিতে থাকে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য দিনে যে পরিমাণ শারীরিক কর্মকাণ্ড করতে হয় দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশুই তা করে না। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথ সাময়িকী।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় ‘২০১৮- বাংলাদেশ রিপোর্ট কার্ড অন ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ’ শিরোনামে সমীক্ষা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শিশুদের ওপর সাত দিনের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৩ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের মাত্র ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ দিনে এক ঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে। বাকি ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশই প্রয়োজনীয় শারীরিক কর্মকাণ্ড করে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টা শারীরিক কর্মকাণ্ড করা উচিত।

সমীক্ষা প্রতিবেদনের লেখকরা বলছেন, শিশুদের এই জীবনাচরণ জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যায় ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে এবং বাংলাদেশে বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় নেওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে সচেতনতা, সোচ্চার হওয়া, সহায়ক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা বলছেন, এগুলো করা হলে অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক কর্মকাণ্ড তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে।

যাতায়াতে শারীরিক পরিশ্রম, স্কুলে স্কুলে খেলাধুলার আয়োজন, এলাকায় খেলাধুলার ব্যবস্থা, জাতীয়ভাবে শারীরিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

গবেষক দলের প্রধান আসাদ খান বলেন, এগুলোর পাশাপাশি অ্যাক্টিভ লাইফস্টাইল নিয়ে একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ ও তদারকিও গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়া শুধু ইচ্ছার বিষয় নয়, তা জীবনের জন্যই প্রয়োজন।

এদিকে অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের সভাপতি মার্ক ট্রেম্বলে এক বিবৃতিতে বলেছেন, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা শিশুরা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সমস্যায় পড়ার ঝুঁকিতে থাকে। সে কারণে সবাইকে এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এই প্রজন্মকে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন এবং দ্রুত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তাই তাদের স্বাস্থ্যবান ও ভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে হবে, যাতে তারা পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকতে ও সফল হতে পারে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads