• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
দুর্গাপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস কাল

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

দুর্গাপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস কাল

  • দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮

আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরকে মুক্ত করে।

পাক হানাদার বাহিনীর মেজর সুলতানের নেতৃত্বে দুর্গাপুরের মিশনারীজ এলাকা বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাটি গড়ে উঠেছিল। আর এখানে বসেই পাক সেনারা বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রণ করতো দুর্গাপুর সদর, বিজয়পুর সহ কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা লেংগুরা, নাজিরপুর ।  সেই সঙ্গে বুদ্ধিজীবী মানুষদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরির বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো।

যাদের সর্ব প্রথম হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রয়েছে- দুর্গাপুর কৃষাণ কলেজের অধ্যক্ষ আরজ আলী,  প্রধান শিক্ষক অনুলেশ্বর সান্যাল, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এমএনএ পুরাকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন ও আশোতোষ সান্যালসহ ৭২জন। যাদের তালিকা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসে সংরক্ষিত আছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেভারেন মনিন্দ্রনাথ মারাক, অশেষ আউল জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শেষ রাতে পাক সেনারা দুর্গাপুর ত্যাগ করে সেই প্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস পালন করা যেতে পারে।  তারা আরো জানান ৫ মে গাঁওকান্দিয়া গ্রামে পাক সেনারা ১৯জন মুক্তিযোদ্ধাকে এক সাথে হত্যা করে। এর আগের দিন ৪মে ২ জন পাক সেনা গাঁওকান্দিয়া গ্রামে গিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নারী ধর্ষণের চেষ্টা চালালে গ্রামবাসীরা তাদের ধরে কুপিয়ে হত্যা করে।এর জের ধরে পরের দিন ৫ মে বিরিশিরি ক্যান্টনমেন্ট থেকে এক ঝাঁক পাক সেনা গাঁওকান্দিয়া গ্রামে গিয়ে সাধারন মানুষ সহ ১৯জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads