• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে আরেক সফলতা

ইলিশ

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

মিলল জিন বিন্যাসে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে আরেক সফলতা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল আরো আগেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ ছাড়া ইলিশকে আর নিজেদের দাবি করার সুযোগ নেই কোনো দেশের। বিশ্বের অন্যতম স্বাদের এই মাছটি নিয়ে যেকোনো গবেষণাও যে বাংলাদেশের হবে সেও ছিল স্বাভাবিক। গেল বছর তেমন একটি সফল গবেষণার কথা জেনেছিল বিশ্ব। ইলিশের জীবনরহস্য উদঘাটন করেছিলেন কয়েকজন বাংলাদেশি গবেষক। তাদের গবেষণা সম্প্রতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিশ্বখ্যাত জার্নাল বায়োমেড সেন্ট্রাল (বিএমসি) প্রকাশ করেছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলা পদ্মার ইলিশের জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটনের সেই গবেষণার নিবন্ধ।

বিএমসি’র ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা গেছে, গত বছরের ১৬ অক্টোবর জার্নালটি গবেষকদের থেকে নিবন্ধটি পায়। পরে গত ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ জার্নালটির সম্পাদকীয় পর্ষদ সেটি ছাপার জন্য নির্বাচন করে। আর ২২ ডিসেম্বর সেটি প্রকাশিত হয় সেটি।

‘জিনোম অব টেনুয়ালোসা ইলিশা ফরম দ্য পদ্মা রিভার, বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই নিবন্ধে গবেষক হিসেবে নাম এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম, অলি আহমেদ, অভিজিৎ দাস, তাসনিম এহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইলিশ গবেষক এম নিয়ামুল নাসের, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আবদুল বাতেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও নিউক্লিওটাইড রসায়ন বিভাগের প্রধান ড. মং সানু মারমা এবং পিটার ইয়ানাকিভের।

এদিকে ইলিশের জিনতত্ত্বের ওপর কাজ করা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিএমসিতে বাংলাদেশের গবেষণাটি সবার আগে প্রকাশ পাওয়ার বিষয়টিকে অনন্য গৌরব বলে মনে করছেন গবেষকরা।

অধ্যাপক হাসিনা খান এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধাপ ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই স্বীকৃতি পেল। প্রকাশনার আগের প্রক্রিয়া হিসেবে উদঘাটন বিষয়ক সমস্ত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিন ব্যাংক ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে (এনসিবিআই) জমা দিতে হয়েছে। জিন ব্যাংক সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করেছে। এরপর প্রকাশনার জন্য সবকিছু বিএমসিতে দিতে হয়েছে। বিএমসিও সেটা সময় নিয়ে পর্যালোচনা করে তবেই প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের এ উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ইলিশ কীভাবে সমুদ্রের নোনা জল ও স্বাদু পানি দুই জায়গাতেই বসবাস করে, ইলিশের রোগবালাই কী, ইলিশ কি বদ্ধ জলাশয়ে চাষযোগ্য মাছ, কেন ইলিশ এত সুস্বাদু, কেন একেক এলাকায় ইলিশের স্বাদ পাল্টায়, পদ্মার ইলিশই-বা কেন বেশি সুস্বাদু, স্বাদ অটুট রেখে ইলিশ চাষ করা যাবে কিনা? এমন সব প্রশ্নের জবাব মিলবে   ইলিশের জিন বিন্যাস উদঘাটনের ফলে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads