নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকার প্রমাণ মেলেনি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়।এ অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মামলার এজাহারে ওই নারীর ধানের শীষের নেতা-কর্মী-সমর্থক হওয়া, তার ধানের শীষে ভোট দেওয়া, আসামিরা নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্ট হওয়া, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে মারধর বা ধর্ষণের শিকার হওয়া, তা উল্লেখ নেই। বরং এজাহারে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর ও ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই নারী তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি যে তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন। তার স্বামীও এসব কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, 'বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রচন্ড মারধোর করেছে। এরপর পালাক্রমে ধর্ষণ করছে। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এই ঘটনার স্টেটমেন্ট সবগুলোই একই ধরনের। তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। দোষীদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।'