• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন হয় কি না তদারক করব : হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন হয় কি না তদারক করব : হাছান মাহমুদ

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবাদপত্রের মালিকরা ওয়েজ বোর্ড আসলেই বাস্তবায়ন করেন কি না সেটি তদারকি করা হবে। তিনি বলেছেন, ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দিয়ে কেউ না করলে সেটি আমরা তদারকি করব। আসলে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে নাকি হচ্ছে না তা দেখব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার সময় ১২ ঘণ্টায় উন্নীত করে এটিকে বিটিভির মতো পূর্ণাঙ্গ টিভি সেন্টারে রূপ দেওয়া হবে। নবম ওয়েজ বোর্ড যত দ্রুত সম্ভব ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশনে ওয়েজ বোর্ড নেই। টেলিভিশন সাংবাদিকরাও যাতে ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আসেন, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ৬ ঘণ্টার সম্প্রচার চলছে। এটিকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করা হবে। এছাড়া এই কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাইরে দেখা যায় না। তা সারা দেশে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। বিটিভি চট্টগ্রাম হবে বিটিভির মতো স্বতন্ত্র-পূর্ণাঙ্গ টেরিস্ট্রিয়াল টিভিকেন্দ্র। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সমাজের যে উদ্বেগ রয়েছে তা কমাতে কাজ করব। এ ব্যাপারে আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা চাই। ভুঁইফোঁড় অনলাইন ও অনলাইন টিভির বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম আজকের বাস্তবতা। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বাস্তবতা। বাংলাদেশে শুধু নয়, সমগ্র পৃথিবীতে অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এই বিস্তৃতি বন্ধ করা সঠিক নয়। কিন্তু এটি যাতে সঠিকভাবে হয়, নিয়মনীতির মধ্যে থেকে হয়- সে কাজটি করাই আমাদের লক্ষ্য।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেকেউ একটা অনলাইন নিউজপেপার বা টেলিভিশন খুলে ফেলবে অনুমোদন ছাড়া, সেটি হতে পারে না। অনলাইন টেলিভিশনগুলোকেও নিয়মের মধ্যে আনার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে। সাংবাদিক নেতাদের পরামর্শ লাগবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা ঠিক করব। তিনি বলেন, অনলাইনের জন্য নীতিমালা হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হচ্ছে। অনলাইনের যখন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হবে নীতিমালার ভিত্তিতে তখন ভুঁইফোঁড় অনলাইনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমার পূর্বসূরি সেই কাজটি ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। ভারতীয় উপমহাদেশ তো নয়, পুরো এশিয়া মহাদেশে যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচিত হয় সেখানে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ছাড়া অন্য কোথাও একই দল পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেনি। এভাবে পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগকে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কর্মঠ প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আমরা দুটি স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। একটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, আরেকটি হচ্ছে দিনবদল। আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান দেই তখন অনেকেই এটিকে নিছক নির্বাচনী স্লোগান বলে হাস্যরস করেছিল। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি সিম ও ১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন। এখন রিকশাচালক ভাইয়ের হাতে মোবাইল ফোন, কৃষক ভাইয়ের হাতে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে এখন শুধু কথা বলা যায় তা নয়, ছবি দেখা যায়, ভিডিও কল করা যায়। পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়া যায়, টেলিমেডিসিনে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায়, গ্রামের কৃষক ফসলের ছবি পাঠিয়ে কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিতে পারছেন।

মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads