• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মানহীন ‘এ ক্যাপসুল’ কিনতে বাধ্য করেছে

নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

মানহীন ‘এ ক্যাপসুল’ কিনতে বাধ্য করেছে

  • কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর দুবার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এরই ধারাবহিকতায় আজ শনিবার সারা দেশে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় একটি অখ্যাত কোম্পানির কাছ থেকে কেনা নিম্নমানের এই ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, মামলা করে ভারতীয় একটি অখ্যাত কোম্পানির কাছ থেকে নিম্নমানের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। ওই কোম্পানির সরবরাহ করা ক্যাপসুলগুলো কৌটার সঙ্গে লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না। ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে সরবরাহ করা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কোম্পানির কোনো সুনাম নেই। মামলা করে তারা আমাদের এ ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে। লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন এ রকম হলো পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশের কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই। ভিটামিন এ ক্যাপসুলে শিশুদের যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয়-এ জন্য আপাতত এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। শিগগিরই এ ক্যাম্পেইন শুরু হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসন সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামিল, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, জেলা ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে উপ-পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজাল, জেলা বিএমএর সভাপতি ড. মাহবুব ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল ওয়াহাব, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মূলত রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ২০১২ সালেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অবশ্য মান নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। জটিলতা হয় মূলত কার্যাদেশ দেওয়া নিয়ে।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল কেনার কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে একটি দেশি ওষুধ কোম্পানি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল। কিন্তু ওই কার্যাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় অ্যাজটেক নামে ভারতীয় একটি কোম্পানি। আদালত ওই ভারতীয় কোম্পানিকে সরবরাহের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে লাল রঙের এ ক্যাপসুল সরবরাহ করে আসছে কোম্পানিটি। আজ শনিবার সারা দেশের স্থায়ী টিকা কেন্দ্র ছাড়াও বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads