• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন এরশাদ

বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন এরশাদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০১৯

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ রোববার  দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে জাপা প্রেসিডেন্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) মোঃ খালেদ আখতার, এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ এবং মোর্শেদের স্ত্রী রুখসানা খান মোর্শেদ।

বিমানবন্দরে এরশাদকে বিদায় জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রমুখ।

দলীয় এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থ। বয়সের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এরশাদ। বিশেষ করে, তার রক্তে কখনো সোডিয়াম কমে যায়, কখনো হিমোগ্লোবিন কমে যায়। এজন্য কিছুদিন পরপরই হাসপাতালে গিয়ে তাকে রক্ত নিতে হয়। মাসখানেক আগে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে রুটিন চেকআপ করান এরশাদ। তার দুটো ভাল্বেই ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। অসুস্থতার কারণে গত ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। টানা ১৬ দিন পর সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু শরীর দুর্বলতার কারণে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে রংপুর যেতে পারেননি তিনি। সেই সময় তিনি সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩ জানুয়ারি দলের ২১ সংসদ সদস্য শপথ নিলেও তিনি সেদিন শপথ নিতে যেতে পারেনি। এরপর তিনি হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ার করে ৬ জানুয়ারি শপথ নেন। এরপর পুনরায় হাসপাতালে চলে যান। এরপর বাসায় ফিরে গেলেও গত শনিবার থেকে তিনি সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে ফেরেন।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, স্যারের শারীরিক অবস্থা ভালো না। স্যারের রক্তে হিমোগ্লোবিন সমস্যা রয়েছে, লিভারের দুর্বলতাসহ নানা সমস্যায়ও ভুগছেন। মাঝখানে তার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। শরীরের অবস্থা এমন ছিল যে, বিমানে নেওয়াটাও স্বাভাবিক ছিল না। এখন শরীর অবশ। তা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, উঠা-বসায় কিছুটা কষ্ট হলেও স্যার হুইল চেয়ারে বসে চলাফেরা করতে পারছেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। চার দিন পরপর তাকে রক্ত দিতে হচ্ছে। তার শরীরে রক্ত উৎপাদন কমে গেছে। তাই চিকিৎসার জন্য আবারো তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads