• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
উন্মোচন হলো না রহস্য

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছর

উন্মোচন হলো না রহস্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

৭ বছর পেরিয়ে গেলেও চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়নি। আজ ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছরপূর্তি হলো। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। ওই দিন ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সৈয়দ শাসমুল হক টুকু ও আসাদুজ্জামান খান কামাল-আসামিরা ধরা পড়বে-মামলার রহস্য উদঘাটন হবে বলে একাধিকবা সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। অদৃশ্য শক্তির ঈশারায় সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক নেতারাও এখন আর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে সোচ্চার নন। ১১ ফেব্রুয়ারি এলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি দিবসটি যথারীতি সাদামাটাভাবে পালন করে সাগর-রুনির আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আর জ্বালাময়ী বক্তব্যের মাধ্যমে-কর্মসূচি শেষ করে। তার পর আবার ভুলে যায় সবাই। কিন্তু সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান, সাগর রুনির পরিবারের সদস্যরা। সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারে না। তাদের বুকচিরে শুধু হতাশামাখা দীর্ঘশ্বাস বেরোয়।

সূত্র জানায়, পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনী ডিবি আর র্যাব মিলিয়ে তিনটি তদন্ত সংস্থা মামলাটিতে প্রতিবেদন দিতে আদালতের কাছে মোট ৬২ বার সময় নিয়েছে। কিন্তু জমা দিতে পারছে না প্রতিবেদন। সহসা প্রতিবেদন জমা পড়বে, এমন আশাও  নেই।

তদন্তকারী সূত্রগুলোর মতে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এ পর্যন্ত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে। এর আগে ডিবি পুলিশ চোর থেরাপি আবিষ্কার করে এটা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের কাজ বলে স্টাবলিশ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।

মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বলেন, হত্যা দিবসটি এলে মেঘকে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে সাগর-রুনির কবর জিয়ারত করি। মাহফিলের আয়োজন করি। এ ছাড়া আমাদের আর কী করার থাকতে পারে। তিনি বলেন, ২ বছর আগ পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা ফোন দিত। এটা সেটা জানতে চাইতো। কিন্তু গত ২ বছরে আর কেউ খোঁজখবর নিচ্ছে না। এ থেকেই বোঝা যায়-এ মামলার হাল হকিকত। এখন এসব নিয়ে মা-বাবা হারানো শিশু সন্তান মেঘেরও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। সে এখন স্বাভাবিক আছে। সে আমাদের কাছে থেকে পড়াশোনা করছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads