• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
কর্ণফুলী টানেলের কাজ উদ্বোধন ২৪ ফেব্রুয়ারি

কর্ণফুলী টানেল

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কর্ণফুলী টানেলের কাজ উদ্বোধন ২৪ ফেব্রুয়ারি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর নামে এই টানেলের নামকরণ করা হচ্ছে। সোয়া তিন কিলোমিটার টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল সোমবার বনানীর সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষ ও নৌবাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ টানেল নির্মাণ প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনী। চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের নির্মাণ চলাকালে এর নিরাপত্তায় থাকবে নৌবাহিনী।

গতকাল সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদৌস ও নৌবাহিনীর পক্ষে নেভাল ওপারেশন্সের পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক চুক্তিতে সই করেন। এ সময় নৌবাহিনী প্রধান আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, নদীর তলদেশ খননের মূল খননযন্ত্র ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। মূল খননকাজ ব্যতীত টানেলের দুই তীরের আনুষঙ্গিক প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমি থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নদীর অপর পাড়ে আনোয়ারা উপজেলা পর্যন্ত সোয়া তিন কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মিত হচ্ছে। টানেলের ভেতর দিয়ে থাকবে চার লেনের মহাসড়ক।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের পরিচালক হারুন-অর রশিদ চৌধুরী জানান, টানেলের মূল খননকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেওয়ায় সেতু সচিব ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

প্রকল্প পরিচালক জানান, ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের আর্থিক সহায়তায় এই টানেলটি নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং চীন সরকার ৭০৫ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ডলার।

টানেল নির্মাণে চীন থেকে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে এসেছে বিশালাকৃতির টিবিএম মেশিন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরুর সময় গণনা ধরে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলীর তলদেশে মাটি খুঁড়ে টিউব ঢোকানোর জন্য চীন থেকে আনা ৯৪ মিটার দীর্ঘ ও ২২ হাজার টন ওজনের বোরিং মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশে মূল খননকাজ শুরু হবে। এই খননের মাধ্যমে নদীর তলদেশে মোট দুটি টিউব নির্মাণ ও স্থাপন করা হবে। এর একটি দিয়ে গাড়ি শহরপ্রান্ত থেকে প্রবেশ করে আনোয়ারা উপজেলার দিকে যাবে, আরেকটি টিউব দিয়ে অপর পাড় তথা আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শহর প্রান্তের দিকে আসবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads