• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ আজ

ইয়াবা

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ আজ

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দেড় শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন আজ শনিবার। সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবেন তারা। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারীসহ ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত থাকবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তৈরি তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার সকালে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছান। জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, এরই মধ্যে অন্তত দেড় শতাধিক তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণের জন্য কক্সবাজারের বিশেষ একটি স্থানে নিজেদের উদ্যোগে নিরাপদ হেফাজতে জড়ো হয়েছে। আরো অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তালিকায় ‘শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী’ হিসেবে চিহ্নিত ৭৩ জনের ১ থেকে ২০ নম্বরের অধিকাংশই নিরাপদ হেফাজতে এসেছে।

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুর শুক্কুর শফিকুল ইসলাম শফিক, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, ফয়সাল রহমান, বদির ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, আরেক ভাগিনা টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর নূরুল বশর ওরফে নূরশাদ, মং সিং থেইন ওরফে মমসি, ফুপাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল, মারুফ বিন খলিল বাবু, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের ছেলে দিদার মিয়া।

টেকনাফের হ্নীলার নুরুল হুদা, টেকনাফের এনামুল হক এনাম মেম্বার, সাবরাংয়ের মোয়াজ্জেম হোসেন দানু মেম্বার, হ্নীলার জামাল মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম রেজু মেম্বার, উত্তর আলী খালির শাহ আজম ও সাবরাং নয়াপাড়ার আলমগীর ফয়সাল লিটন, ইয়াবা ডন হাজী সাইফুল করিমের দুই শ্যালক জিয়াউর রহমান ও আবদুর রহমান। টেকনাফের পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, হ্নীলা সিকদারপাড়ার সৈয়দ আহম্মদ সৈয়দ, বন্দুকযুদ্ধে নিহত নাজিরপাড়ার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের ভাই আবদুর রহমান, নাজিরপাড়ার সৈয়দ হোসেন, নাইটংপাড়ার ইউনুস, ডেইলপাড়ার জাফর আলম, জাহাজপুরার নুরুল আলম, হ্নীলার রশিদ আহম্মদ ওরফে রশিদ খুলু, সদরের ডেইলপাড়ার আবদুল আমিন ও নুরুল আমিন, টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরি এলাকার করিম মাঝি, হ্নীলা ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী।

শামলাপুর জুমপাড়ার শফিউল্লাহ, একই এলাকার সৈয়দ আলম, রাজাছড়ার আবদুল কুদ্দুছ, মধ্যম জালিয়াপাড়ার মোজাম্মেল হক, জাহেলিয়াপাড়ার মোহাম্মদ সিরাজ, কচুবনিয়ার আবদুল হামিদ, নাজিনপাড়ার মোহাম্মদ রফিক, পল্লানপাড়ার মোহাম্মদ সেলিম, নাইটংপাড়ার রহিমউল্লাহ, নাজিরপাড়ার মোহাম্মদ হেলাল, চৌধুরীপাড়ার মোহাম্মদ আলম, সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার একরাম হোসেন। হ্নীলার পূর্ব পানখালির নজরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়নের তুলাতলি এলাকার নুরুল বশর, হাতির ঘোনার দিল মোহাম্মদ, একই এলাকার হাসান, সাবরাং নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, কচুবনিয়ার বদিউর রহমান ওরফে বদুরান, জালিয়াপাড়ার জুবায়ের হোসেন, হ্নীলার পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসার প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা। এ সুবাদে এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেও ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। তাদের এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইয়াবার আগ্রাসন অনেকটা কমে আসবে মনে করছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads