• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামকে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে  : গৃহায়ণমন্ত্রী

আজ শনিবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামকে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে : গৃহায়ণমন্ত্রী

  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, উন্নয়নে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামকে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কারণ চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা বেশি। তিনি চট্টগ্রামকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। ধাপে ধাপে উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম একদিন বাণিজ্যিক রাজধানীতে পরিণত হবে।

আজ শনিবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রামের মানুষ অনেক পরিশ্রমী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে আমি খুশি হয়েছি। আমরা চাই, নগর ও গ্রামে কোনো পার্থক্য থাকবে না। নগরের সুবিধা গ্রামেও দেওয়া হবে।’

এ সময় মন্ত্রী চউককে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এই পরিবারের জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সবার চিন্তা থাকতে হবে- সবার আগে উন্নয়ন। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের সংশোধন করতে হবে, মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। যার যে দায়িত্ব তা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করতে হবে।’

চউকের কর্মকাণ্ড নিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘কাজের গতি বাড়াতে হবে। প্রকল্পের ধীর গতি আমি মেনে নেব না। কাজের গতি বাড়াতে গিয়ে যদি কোনো প্রতিকূলতা আসে তাহলে মন্ত্রণালয় থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার করেননি খালেদা জিয়া। মেজর জিয়াউর রহমান হত্যার পর একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলার চার্জশিটে পুলিশ আসামি খুঁজে পায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিই গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া। পক্ষান্তরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিট আমরা নারাজি দিয়েছি, বিচার করেছি।’

সভায় চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। চট্টগ্রামে ৫৭টি খালরয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১১টি খালের খনন কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সব খাল খনন করা হবে।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা হচ্ছে মূলত মানবসৃষ্ট কারণে। মানুষকে সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads