• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
ধরাছোঁয়ার বাইরে ৫ ফাঁসির আসামি

বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ২০তম বার্ষিকী পালিত

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ধরাছোঁয়ার বাইরে ৫ ফাঁসির আসামি

পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ২০তম বার্ষিকী পালিত

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জাতীয় পতাকার রূপকার ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ২০তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে গতকাল শনিবার। পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে কাজী আরেফ পরিষদ ও ইয়াকুব আলী স্মৃতি সংসদ এবং দৌলতপুর জাসদ।

১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও সমসের মণ্ডল সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সে সময় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হলে ঘটনার দিনই পুলিশ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলাটি পরদিন সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ আসামির ফাঁসি ও ১২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষ আপিল করলে ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির সাজা মওকুফ করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির তিন আসামি রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু, আনোয়ার হোসেন ও সাফায়েত হোসেন হাবিব সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। ২০১১ সালের ৭ আগস্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষে আপিলকারী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনের সাজা বহাল রাখেন। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ করলে তাও ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত। এরপর ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি গভীর রাতে যশোর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আনোয়ার হোসেন, রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু ও সাফায়েত হোসেন হাবিবের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর হলেও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীরা আজো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আরো ৫ আসামি এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা দানা বেঁধেছে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে।

হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকার দৌলতপুর জাসদের সাধারণ সম্পাদক শহীদ অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলীর বড় ছেলে ইউসুফ আলী রুশো জানান, তিন ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য মূল পরিকল্পনাকারীরা আজো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখনো গ্রেফতার হয়নি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতকদের অনেকেই। তাই এখনো উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা পিছু তাড়া করে, সেই সঙ্গে সর্বদা বিরাজ করে শঙ্কাও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads