চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নাটক শুধু বিনোদন নয়; একটি ভালো নাটক নির্মল আনন্দ দানের পাশাপাশি নাট্য শিল্পীরা তাদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে তা পরিহারের পথ আবিস্কার করে। তাই নাটককে জীবনের প্রতিচ্ছবি বলা যায়।
আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় চবিতে আয়োজিত তৃতীয় নাট্যোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চবি উপাচার্য বলেন, সৃজন ও মননশীল বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে নাটক। মানুষের কর্মচাঞ্চল্যের একঘেয়েমী কাটিয়ে ওঠতে এবং অন্তরকে বিকশিত করে সুন্দরকে ধারণ করতে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক চর্চা। আর এই সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হল নাটক।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত’ এ শ্লোগানকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় চবি উন্মুক্ত মঞ্চে তিনদিন ব্যাপি ৩য় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০১৯ শুরু হয়েছে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ।
চবি নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি ও উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক শামীম হাসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও নাট্যকলা বিভাগের প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া, চবি প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলম খোরশেদ, এজাজ ই্উসুফী, আহমেদ ইকবাল হায়দার এবং জনাব শিশির দত্ত।
তিনদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এ নাট্যোৎসবের প্রথমদিনে হারুন রশীদ রচনায় ‘পঞ্চনারী আখ্যান’, শাহরিয়ার হান্নান রচিত ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’, আহমদ কবীর রচিত ‘ধানমন্ডি ৩২ এবং...’ এবং মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কবর’ নাটকসমূহ প্রদর্শিত হয়।
জুবাইর উদ্দিন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
