• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মাদক ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ কতটা সম্ভব

শাজাহান খান ও আবদুর রহমান বদি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘বদি’ ‘শাজাহান’

মাদক ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ কতটা সম্ভব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি গঠন প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম জানতে চেয়েছেন, আবদুর রহমান বদিকে দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আর শাজাহান খানকে দিয়ে সড়ক নিয়ন্ত্রণ কতটা সম্ভব?  জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, এখানে ব্যক্তি বিষয় নয়। একজনই পুরো রিপোর্টটি প্রণয়ন করবেন না। তিনি যেহেতু অভিজ্ঞ মানুষ, সেজন্য তার নামটি এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে যতটা না আশা করা হচ্ছে, তার থেকে ভালো রিপোর্টও তো আসতে পারে।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল ইমাম বলেন, গরু-ছাগল চিনলে লাইসেন্স দেওয়া যাবে শাজাহান খানের এই মন্তব্যে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছিল। তার এক হাসিতে ওই সময় দেশে কী পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তাকে দিয়ে সরকারের কতখানি কমিটমেন্ট রক্ষা হবে।

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্প্রতি দেশে দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতির কিছু অবনতি ঘটায় আমরা জরুরি ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা ডেকেছিলাম। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী, পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতা, ইলিয়াস কাঞ্চন, সৈয়দ আবুল মকসুদসহ সড়ক বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন, ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের কর্তাব্যক্তি।

তিনি বলেন, সভায় সবার উপস্থিতিতে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে সুপারিশমালা তৈরির জন্য ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়, যাতে শাজাহান খানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি। তার (শাজাহান খান) নেতৃত্বে আরো ১৪ জন এই কমিটিতে রয়েছেন। আমরা এখানে ব্যক্তি দেখব না। অতীতে তার কোনো স্মিত হাসির জন্য কোনো সমস্যার উদ্ভব হয়েছে কি-না তা দেখতে চাইব না। এই কমিটি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ও সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে রিপোর্ট কীভাবে পেশ করে তা দেখব। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।

অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সড়কে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভিআইপি হয়ে উল্টোপথে চলি। এটা তো স্বাভাবিক বিষয় নয়। ভিআইপিরা অসাধারণ মানুষ, তারা যদি উল্টোপথে চলেন তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবেন?

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads