• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বুড়িগঙ্গা তীর উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত

বুড়িগঙ্গা তীর উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

বুড়িগঙ্গা তীর উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে বসিলা ব্রিজ এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।

রাজধানীকে ঘিরে থাকা নদীগুলোর দুই পাড়ে উচ্ছেদ অভিযানের দশম দিনে বুড়িগঙ্গা নদী ও এর প্লাবন ভূমি দখল করে গড়ে ওঠা টিনশেড ঘর, বহুতল ভবনসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে যাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে তারা বলছেন, কোনো নোটিশ পাননি তারা। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো নোটিশের প্রয়োজন নেই। নদী ও খাল উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ’র এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উচ্ছেদের একপর্যায়ে সীমানা জটিলতায় একটি দশতলা ভবন ভাঙা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। রাজউক, বিআইডব্লিউটিএ কারো অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও ভবনটি ভাঙা যায়নি। উচ্ছেদ অভিযান চলে বসিলা ব্রিজ পেরিয়ে তুরাগ নদের দুই পাড়েও।

এই অংশেও বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে তিন দফায় নয় দিন অভিযান চালিয়ে বুড়িগঙ্গা তীরের প্রায় পনেরশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক বৈঠকে ঢাকার চারপাশের নদী ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দূষণ বন্ধ ও নাব্য ফিরিয়ে এনে নদীরক্ষায় টাস্কফোর্স গঠন করে দেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গত সপ্তাহে সংসদে বলেন, নদীতীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ঠেকাতে কারো প্রভাবই খাটবে না। বিআইডব্লিউটিএ যে অভিযান শুরু করেছে তা অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads