• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ছবি: পিআইডি

জাতীয়

জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য, তাদের নিয়ে জোট ও সরকার গঠন করার কারণেই জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। সুজন হালদার বইটি রচনা করেছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান বলেন, জামায়াতে ইসলামী যে এতদিন ধরে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে এবং বিএনপি তাদের সঙ্গে জোট গঠন করেছে, একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, ফলে বিএনপিও সেই একই অপরাধে অপরাধী এবং দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য নয়।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার পদত্যাগের এবং ক্ষমা চাওয়ার কথা দেশের ভেতর ও বাইরের চাপ থেকে মুক্ত হবার কৌশলের অংশ। তারা দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনের অপরাধ থেকে দায় মুক্তি পেতে পারে না।’

তথ্যমন্ত্রী ‘নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অর্থ হচ্ছে জনগণ থেকে দূরে থাকা’- উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপির আসন্ন উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে জনগণ থেকে ক্রমেই আরো দূরে সরে যাওয়া। গত সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তারা হয়তো নির্বাচন করতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু বিএনপিকে আমি বলবো খানিকটা সাহস সঞ্চয় করে নির্বাচনে আসতে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কীর্তিময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে যেমন উন্নয়ন, শান্তি, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্ত চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক, তেমনি বিস্ময়কর মানবতারও প্রতীক। এগারো লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন পরম মমতায়।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতির পিতার মৃত্যুতে পিতৃহীন সন্তানদের বুকে আগলে রেখেছেন মমতাময়ী মায়ের মতন; দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন বিস্ময়কর উন্নয়নের গণতান্ত্রিক যাত্রায়; তিনি আজ শুধু ব্যক্তি নন, এক অনন্য প্রতিষ্ঠান।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস শুধু তার প্রত্যাবর্তন নয়, সেটি ছিল উন্নয়ন, শান্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র-এসবেরই প্রত্যাবর্তন। মন্ত্রী এসময় ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটি সকলকে পড়ে দেখতে অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads