• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
দুর্গাপুরে অব্যবস্থাপনায় শিকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার

নেত্রকোনার দুর্গাপূরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

দুর্গাপুরে অব্যবস্থাপনায় শিকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার

  • দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

”আমরা ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি ভুলতে পারি” এই গানটি বার বার মনে করিয়ে দেয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ছাত্রদের উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি র্বষণের নিহত আবুল বরকত, আবদুস সালামসহ ভাষা শহীদের মহান আত্মত্যাগের কথা। আর এই ভাষা শহীদের স্মৃতির প্রতীক শহিদ মিনার।

কিন্তু যাদের মহান আত্মদানে পেয়েছি মাতৃভাষা বাংলাকে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীন করছে দেশ মাতৃকাকে তাদেরই স্মৃতির প্রতীক শহিদ মিনারের অব্যবস্থাপনা আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হুমকির মুখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। পৌর শহরের ধান মহর এলাকায় প্রায় ২৪ শতাংশ জায়গার উপর এটি স্থাপিত। ১৯৭০ সালে শহিদ সন্তোষ পার্কে উত্তর পাশে একটি মাত্র কাঠামো দিয়ে প্রথম শহিদ মিনার তৈরি হয় । পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী হামলায় ভেঙ্গে যায় এটি। দেশ স্বাধীনতা পর ১৯৭২ সালে পুনরায় মধ্যস্থালে সুউচ্চ একটি কাঠামো ও দুই পাশে হ্রস্বতর দুইটি কাঠামো দিয়ে পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হয় শহিদ মিনারকে। বর্তমানে বছরের তিনটি মাত্র জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েও সারা বছরই থাকে অপরিষ্কার ও ময়লা আবর্জনায় ভরা।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর শহিদ মিনারে পাশেই প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায় ব্যয়ে র্নিমিত কয়েক তালা বিশিষ্ট আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্রেক্স উদ্বোধন হয়। কিন্তু তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি শহিদ মিনার মূল বেদীর। ২০০৬ সালে মূল বেদী সহ সকল কাঠামো টাইলস পাথরা ধারা সংস্কার করা হলেও র্দীঘ ১৩ বছরেও পেরিয়ে গেলেও বড় কোনো সংস্কারের মুখ দেখেনি শহিদ মিনার। বালু আর গাছের পাতায় নোংরা হয়ে থাকে সব সময়।

অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসা শহীদের স্মৃতির প্রতীকই তাকে আন্ধকারে। পৌর শহরের ভিতরে হয়েও সারা বছরই অন্ধকারেই থাকে হয় শহিদ মিনারের চারদিক। তাই সন্ধ্যার পরেই মাদক সেবিদের অন্যতম আড্ডার স্থান হয়ে যায় এটি। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার মুক্তিযোদ্ধারা পৌরসভাকে অবহিত করলেও এখনো তা আসলে নেয়নি পৌর কতৃপক্ষ। দুই বছর ধরে ভেঙ্গে পরে আছে মূল প্রবেশদ্বার ফলে বিভিন্ন টান্সপোর্ট ব্যবসা ট্টাক সহ বিভিন্ন যানবাহন ভিতরে নষ্ট করে ফেলেছে মাঠের বেশ কিছু অংশ। আবার পাশপাশের বাড়ি-ঘরের নিয়মিত ময়লা আবর্জনা ফেলায় ও পথচারিদের মলমূত্রে দূষিত হচ্ছে শহিদ মিনারের পরিবেশ ।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ড সোহরাব হোসেন তালুকদার বলেন, র্দীঘদিন শহিদ মিনারের পরিবেশ ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে আছে। তা উপর আবার ছোট একটি প্রবেশ ছিলো তাও কমপ্রেক্স নির্মাণের সময় ভেঙ্গে ফেলায় পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে শহিদ মিনারটি। ফলে যে যার মত ব্যবহার করছে পবিত্র এই স্থানটিকে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খাঁন বলেন, শহিদ মিনারেন সার্বিক উন্নয়রে আমরা সর্বদা কাজ করে আসছি। পাশপাশের বাড়ি-ঘরের থেকে যাতে ময়লা আবর্জনা না ফেলে তার জন্য আমরা বেশ কয়েকবার স্থানীদের অনুরোধ জানিয়েছি। আর প্রবেশদ্বারটি কমপ্রেক্স নির্মাণের মালামাল পরিবহনের সময় ভেঙ্গে যায়। পবরর্তীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা পুনবায় নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরো এখন কেনো তা নির্মাণ করা হয়নি তা খতিয়ে দেখবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads