• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণের জন্য চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সকল মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর ফলে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে ইলিশসহ যে কোন মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রনিধিরা এই কমিটিতে রয়েছেন।

দুই মাসের এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে টাস্কফোর্স কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান যেসব জেলে আইন অমান্য করে জাটকা নিধন করে তাদের তালিকা তৈরী করে দেয়ার জন্য মৎস্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি জানান, জেলা ৫১ হাজার তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছে। এসব জেলেদেরকে জাটকাসহ সকল ধরনের মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। নদী উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা। জেলে পাড়ায় লিফলেট বিতরণ ও আড়ৎগুলোতে ব্যনার সাঁটনো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও জেলে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের মাঝে সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে। যেনো অবসর সময়ে তারা কর্ম করে খেতে পারে।

তিনি আরো জানান, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন। আর এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে হলে প্রশাসনের পাশাপশি, জনপ্রতিনিধি ও সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আইন অমান্য করে কোন জেলে জাটাক নিধন করলে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads