• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নিজ বাসায় খাদ্যমন্ত্রীর জামাতার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

নিজ বাসায় খাদ্যমন্ত্রীর জামাতার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ মার্চ ২০১৯

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ের জামাই রাজন কর্মকারের (৪২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। আজ রোববার ভোরে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজন কর্মকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক। রাজনের স্ত্রী-ও বিএসএমএমইউ’র সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর পরিবার অথবা নিহতের পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের একটি টিম স্কয়ার হাসপাতালে আছে। তাদের সঙ্গে নিহতের পরিবারের কথা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, আমরা জেনেছি গত রাতে স্কয়ার হাসপাতালে রাজনকে ভর্তি করা হয়। রাজন ইন্দিরা রোডের ৪৭ নম্বর বাড়িতে থাকতেন।

নিহত রাজন কর্মকারের মামা সুজন কর্মকার বলেন, প্রথমে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নন-ডায়াবেটিস (ডায়াবেটিস নেই এমন) একজন লোকের এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। আমরা ময়নাতদন্ত চাই।

রাজনের সহকর্মী বিএসএমএমইউয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক বলেন, রাজন হত্যার বিচার চাই। আমার জানা মতে, রাজনের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। আমরা জেনেছি, আগে থেকেই তার পারিবারিক কলহ ছিল। আমরা মরদেহের ময়নাতদন্ত চাই।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শেষে রাত ১২টায় বাসায় ফেরেন রাজন। রাত সাড়ে ৩টায় নিহতের মাকে ফোন করে বলা হয়েছে, আপনার ছেলে আজ রাতে মারা যাবে। রাতেই স্কয়ারে নিলে চিকিৎসক রাজন কর্মকারকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে পরিবার।

স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বক্তব্য রাত পোনে ৪টার দিকে রাজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সে সময় ডিউটিতে ছিলেন ডা. সজীব। তার বরাত দিয়ে আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে ডা. আসাদ বলেন, মৃত অবস্থায় বডি নিয়ে আসা হয়। মরদেহ দেখে মনে হয়নি অস্বাভাবিক মৃত্যু। তাই পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। পরিবারকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads