নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে শোক জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একই সঙ্গে প্রাণঘাতি ওই হামলা থেকে অল্পের জন্য বাংলাদেশে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তি ও হামলার তীব্র নিন্দা জানান ট্রুডো।
আজ সোমবার সকালে শেখ হাসিনাকে ফোন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দুই প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ২০ মিনিটের মতো ফোনালাপ হয়। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) মুসল্লিদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন ট্রুডো। নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে ট্রুডো বলেন, ‘প্রার্থনার সময় মানুষকে আক্রমণ করা অত্যন্ত বেদনার এবং নিউজিল্যান্ডে আজ যে গুলির ঘটনা ঘটেছে তার কঠোর নিন্দা করছে কানাডা। হতাহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। নিউজিল্যান্ড এবং বিশ্ব মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতোই আমরা আজ শোকাহত।’
গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ৫০ জন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত। ওই হামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হতে পারে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশি নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলেন- স্থানীয় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কুড়িগ্রামের ড. আবদুস সামাদ এবং সিলেটের জকিগঞ্জের গৃহিণী হোসনে আরা ফরিদ। অপর দু’জন হলেন- নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ উমর ফারুক ও চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক। অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
গণহত্যা চালানোর আগে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী অনলাইনে একটি পোস্ট করে জানায়, সে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী। দখলদারদের (অভিবাসী) ওপর প্রতিশোধ নিতেই সে এই হামলা করেছে। অবশ্য তাকে এবং আরও তিনজনকে আটক করেছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এই হামলাকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন।